তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে গুয়াতেমালায়।
Published : 14 Jun 2025, 06:23 PM
পুরো নাম আর্নেস্তো গুয়েভারা হলেও মানুষ তাকে চেনে ‘চে’ নামে। বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী এই বিল্পবীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে। তার পরিবার ছিল আধুনিক এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহী ছিলেন চে। তার লেখা কবিতায় উঠে আসে মৃত্যুর কথা তবে সেই মৃত্যু তাকে ভয় দেখায়নি। বরং বিপ্লবীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আদর্শের জন্য জীবন দিতে পারা সবচেয়ে বড় গর্ব।
তরুণ বয়সে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ— চিলি, পেরু, কলম্বিয়া ও ভেনিজুয়েলা। এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাকে বদলে দেয়। এই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি লেখেন ‘দ্য মোটরসাইকেল ডায়েরিস’ নামের বিখ্যাত বই। যা থেকে পরে চলচ্চিত্রও তৈরি হয়।
এই ভ্রমণে তিনি দেখেন, কীভাবে লাতিন আমেরিকাজুড়ে মানুষ দারিদ্র্য আর বৈষম্যের মধ্যে দিন কাটায়। এ থেকে জন্ম নেয় নতুন এক চে— যিনি শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইলেন।
তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে গুয়াতেমালায়। সেখানকার মার্কসবাদী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হটিয়ে দেয় একটি সামরিক অভ্যুত্থান। এই ঘটনার মাধ্যমে চে মার্কসবাদে আকৃষ্ট হন।
এরপরে মেক্সিকোতে ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। কাস্ত্রো তখন কিউবার স্বৈরশাসক ব্যাটিস্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চে তাদের দলে যোগ দেন এবং হয়ে ওঠেন কিউবার বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নেতা।
কিউবায় বিপ্লব সফল হওয়ার পরও চে থেমে থাকেননি। আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার নানা দেশে বিপ্লবী আন্দোলনে জড়ান। ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ায় গেরিলা যুদ্ধ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। এরপর বন্দি অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়।
যুগে যুগে দেশে দেশে চে হয়ে উঠেছেন বিপ্লবের প্রতীক। আজও বিশ্বজুড়ে তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগান তিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর নামই যেন ‘চে’।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।