"আমাদের দেশের পথশিশুদের শিক্ষাবঞ্চনার মূল কারণ দারিদ্র্য।"
Published : 21 Oct 2025, 08:28 PM
নীলফামারীর বিভিন্ন রেল স্টেশনে হামেশাই পথশিশুদের দেখা মেলে। তাদের কেউ বোতল কুড়িয়ে, কেউ পণ্য বিক্রি করে, কেউবা ভিক্ষা করে জীবিকা চালায়। এই শিশুদের অনেকেই স্কুলে পড়ার সুযোগ পায় না।
নীলফামারী, ডোমার ও সৈয়দপুর রেল স্টেশন ঘুরে এমন কয়েকজন শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক।
নীলফামারী স্টেশনে বোতল কুড়াচ্ছিল ১১ বছরের রুবেল। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন রেল স্টেশনই তার ঠিকানা। কখনও স্কুলে যায়নি সে।
রুবেল বলছিল, “কুড়ানো বোতল বিক্রি করে পেট চালাই। রাতে এখানেই ঘুমাই। আমাকে পড়াবে কে, ভর্তি হব কীভাবে?”
তার মত আরও আরও বেশ কয়েকজন শিশুকে এই স্টেশনে দেখা যায়। তাদের শৈশবের গল্পটাও সংগ্রামের। তাদের কাছে স্কুল এক বিলাসিতার নাম।
ডোমার স্টেশনে কথা হয় সুমন নামের এক শিশুর সঙ্গে। সে তার দাদির সঙ্গে থাকে। দাদি ও তার ভিক্ষার টাকায় চলে সংসার।
আট বছর বয়সী সুমন হ্যালোকে বলে, “স্কুলে গেলে খাব কী? ভিক্ষা করে যা পাই, তাই দিয়ে আমি আর দাদি খাই।”
রুবেল ও সুমনের কাছাকাছি বয়সের আরেক শিশু মামুন। তার সঙ্গে কথা হয় সৈয়দপুর স্টেশনে।
মামুন জানায়, সে পাঁপড় বিক্রি করে। তবে কখনো কখনো ভিক্ষাও করে। রেলস্টেশনের পাশে পরিত্যক্ত এক ঘরে মায়ের সঙ্গে থাকে সে। “মায়ের তো অসুখ, বাবা নাই। খাবার জোগাড় করতেই দিন চলে যায়। তখন পড়ব কখন?” বলছিল সে।
এই শিশুদের প্রসঙ্গে কথা হয় ডোমার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী মো. আসমাউল হাসানের সঙ্গে। তিনি মনে করেন, কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এসব শিশুকে শিক্ষায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের পথশিশুদের শিক্ষাবঞ্চনার মূল কারণ দারিদ্র্য। প্রথমে তাদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবারকে সহায়তা করলে শিশুরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হবে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: নীলফামারী।