Published : 10 Sep 2025, 08:12 PM
আমরা কমবেশি সবাই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটাতে পছন্দ করি। এসব প্ল্যাটফর্ম যোগাযোগকে সহজ করেছে এবং যেকোনো ঘটনার খোঁজখবর রাখতে সাহায্য করছে।
কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
কিছুদিন আগে ইন্টারনেটে একটি গবেষণা প্রতিবেদন পড়েছি। এর শিরোনাম ছিল 'ঢাকার স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ধরণ এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাব'।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল জার্নালের ২০২৫ সালের জুলাই সংখ্যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের অনেক স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরী প্রতিদিন গড়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পুরান ঢাকার ২৪৮ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যারা প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি ফেইসবুক বা মেসেঞ্জার ব্যবহার করে এবং রাত ১২টার পর ঘুমাতে যায়, তাদের মধ্যে মাথাব্যথা, চোখের ব্যথা এবং ঘুমের ব্যাঘাতের সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
এছাড়া ইউটিউব ও টিকটক বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও চোখের ব্যথার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমাদের আশপাশেও এই ধরনের দৃশ্য এখন খুবই সাধারণ। অনেক শিশু গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল বা ট্যাব হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায়। ফলে সকালে তারা ক্লান্ত থাকে এবং স্কুলে মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হয়।
গবেষণাটি আমার কাছে একটি সতর্কবার্তার মত মনে হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন দরকারি, তেমনি এর সীমা থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি।
অভিভাবকদের উচিত শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা এবং তাদের অনলাইন ব্যবহারের ওপর নজর রাখা।
পরিবার থেকেই সচেতনতা শুরু হলে শিশুরা নিরাপদে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে এবং শারীরিক ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭৷ জেলা: কিশোরগঞ্জ।