বিজ্ঞানীরা একশটিরও বেশি জলজ প্রাণীর দেহে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে।
Published : 04 Sep 2025, 08:24 PM
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ সংকটের আরেক নাম প্লাস্টিক দূষণ। এর ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
প্রকৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে যে পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে তার অর্ধেকই তৈরি হয়েছে গত ২০ বছরে।
বর্তমানে প্রতি বছর উৎপাদিত প্লাস্টিকের শতকরা ৪০ ভাগই একবার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়, যাকে আমরা ‘ওয়ান টাইম’ বলে থাকি।
১৯৫০ সালে বিশ্বে উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ টন। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ দশমিক ৮ কোটি টনে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, উৎপাদিত প্লাস্টিকের মধ্যে এমন ধরনের প্লাস্টিকও রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে পচে যেতে অন্তত ৪০০ বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
এসব প্লাস্টিক লক্ষ লক্ষ প্রাণীর মৃত্যুর কারণ। যার মধ্যে পাখি থেকে শুরু করে সামুদ্রিক জীবও রয়েছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রতিবেদনটি বলছে, বিপন্ন প্রজাতিসহ পৃথিবীর প্রায় ২ হাজার ১০০ প্রজাতির জীব প্লাস্টিক দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি প্রায় প্রতিটি সামুদ্রিক প্রাণী প্লাস্টিক গ্রহণ করে।
বিজ্ঞানীরা একশটিরও বেশি জলজ প্রাণীর দেহে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাছ, চিংড়ি ও ঝিনুক। এভাবে করে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাবারের প্লেট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এই উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।
আমাদের জীবন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনা গেলে প্লাস্টিকের উৎপাদন ৪০ ভাগ পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বিকল্প আমাদের এখনই খুঁজে বের করা উচিত।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।