গল্পে নিম গাছকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
Published : 03 Sep 2025, 10:01 PM
চলতি শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা সাহিত্য’ বইয়ে স্থান পেয়েছে লেখক বনফুলের ‘নিমগাছ’ শিরোনামে একটি ছোটগল্প।
সাহিত্যিক বনফুলের আসল নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। তার এই ছোটগল্পটি আমার হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। পাঠ্যবইয়ের তথ্যমতে, এই গল্পটি লেখকের 'অদৃশ্যলোকে' গ্রন্থ থেকে নেওয়া।
গল্পটি আকারে ছোট হলেও এর তাৎপর্য অনেক বড়। শুরুতে লেখক নিমগাছের বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরেছেন। প্রথমদিকে পড়ে আমার তেমন কোনো বিশেষ অনুভূতি হয়নি।
মনে হয়েছিল একটি নিম গাছকে ঘিরে গল্প লেখার প্রয়োজন কী। কিন্তু গল্পের শেষ লাইন আমার চিন্তাধারাকে পুরোপুরি বদলে দেয়।
গল্পে নিম গাছকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন নিম গাছ আমাদের নানা উপকার করে। তার ছাল সিদ্ধ করে, পাতা ভেজে আমরা খাই। আবার বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও এটি কাজে লাগে। তবুও আমরা নিম গাছের প্রতি যত্নশীল হই না। শুধু এর সুবিধাগুলো ভোগ করি।
একজন গৃহবধূও ঠিক তেমনি সারাদিন সংসারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু প্রাপ্য সম্মান বা ভালোবাসা পায় না। অনেক সময় তাকে অবহেলা, কষ্ট আর নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমরা অনেকে মানতে চাই না, তাদেরও মুক্তি ও সম্মানের প্রয়োজন হয়।
লেখক এত সুন্দরভাবে নিম গাছের সঙ্গে গৃহবধূর আত্মত্যাগের সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন যে গল্পটি পড়ে আমার মনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জন্মেছে। এক সাধারণ গাছকে কেন্দ্র করে তিনি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। গল্পের শেষে অবহেলিত নারীর মুক্তি বা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।