আমার কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন, একজন আলোকবর্তিকা।
Published : 22 Oct 2025, 07:20 PM
আমি চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। এই কলেজের সব শিক্ষকই আমাদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তবে তাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল হক স্যার।
আমার কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন, একজন আলোকবর্তিকা। একাদশ শ্রেণিতে উঠেই পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সমীকরণগুলো আমার কাছে এক দুর্বোধ্য গোলকধাঁধার মত মনে হত।
প্রথম দিন স্যারের ক্লাসে বসে তার সহজবোধ্য পাঠদান পদ্ধতি দেখে আমি মুগ্ধ হই। সেদিন থেকেই স্যার হয়ে ওঠেন আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। যেকোনো দ্বিধা বা সমস্যায় আমি তার পরামর্শ নিতে দ্বিধা করি না।
একবার একটি উদ্ভাবনী প্রকল্প জমা দিতে গিয়ে আমি বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। হতাশায় সব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। তখন স্যার আমাকে ডেকে বলেছিলেন, বিজ্ঞান শুধু সূত্র মুখস্থ করা নয়, এটি কৌতূহল ও অধ্যবসায়ের ফল। প্রতিটি ব্যর্থতা তোমাকে সাফল্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়। পরীক্ষামূলক জ্ঞানই আসল। স্যারের এই কথাগুলো আমার মনোবল ফিরিয়ে দেয়, নতুন আত্মবিশ্বাস জাগায়।
শ্রেণিকক্ষে তিনি জটিল বিষয়গুলোও সহজভাবে বোঝান। তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা আর বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে বিজ্ঞান জীবন্ত হয়ে ওঠে। তার ক্লাস করার পর থেকে পদার্থবিজ্ঞান আর কঠিন মনে হয় না, বরং এর প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।
স্যার যেমন বড় ভাইয়ের মত আমাদের ভুলগুলো ধৈর্যসহকারে ঠিক করে দেন, তেমনই উৎসাহ দেন নতুন করে ভাবতে। তার কাছ থেকে আমি শিখেছি যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, সময়ের মূল্য ও সমস্যার গভীরে যাওয়ার অভ্যাস।
এসব কারণেই শামসুল হক স্যার আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক। তিনি আমার জীবনের এক সত্যিকারের পথপ্রদর্শক।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুড়িগ্রাম।