শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে।
Published : 14 May 2025, 07:45 PM
শিশু যখন কোনো পুরস্কার অর্জন করে বা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে, তখন বড়রা তাকে বাহবা দিয়ে বলে, তুমিই দেশের ভবিষ্যৎ।
আজ যে শিশু, সে-ই তো বড় হয়ে দেশের হাল ধরবে। যে আজ পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে, সে বড় হয়ে হয়ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিক কিংবা বৈমানিক হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনও শিশু আছে যারা কোনোদিন স্কুলে যায়নি।
আমি রাস্তাঘাটে প্রায়ই এমন শিশু দেখতে পাই যারা ভিক্ষা করে, ভাঙারি কুড়ায়, দোকানে কাজ করে। কিছু কিছু শিশু তো ঝুঁকি নিয়ে বাস বা লেগুনা চালকের সহকারীর কাজও করে।
ঢাকার নতুন বাজার এলাকা থেকে বেরাইদ যাওয়ার সড়কে লেগুনায় এমন কিছু শিশু কাজ করে যাদের বয়স সাত কিংবা আট বছর হবে। লেগুনার পাদানিতে ঝুলে ঝুলে ভাড়া আদায় করে তারা।
গাড়ি ছাড়ার পর দৌড়ে এসে উঠে গাড়িতে, আবার চলন্ত অবস্থায় এক হাতে হাতল ধরে বাইরের পাদানির উপর দাঁড়িয়ে থাকে। কী ভয়ানক একটা চিত্র!
এই শিশুরাও তো ভবিষ্যৎ। তারাও তো একদিন বড় হবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। শুধু মেধাবী কিংবা সৌভাগ্যবান কয়েকজন শিশুকে নিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব নয়।
যারা আজ পথেঘাটে পড়ে আছে, তারাও যদি সঠিক দিকনির্দেশনা, যত্ন আর সুযোগ পায়, তাহলে তারাও দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা অনেক সময় এই শিশুদের শুধুই করুণার চোখে দেখি, তাদের উন্নয়নের কথা ভুলে যাই।
আমি মনে করি, এই শিশুদের ফিরিয়ে এনে পড়াশোনার অধিকার নিশ্চিত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। নিরাপত্তা, শিক্ষা সকল শিশুর অধিকার, কোনো শিশু অধিকার বঞ্চিত থাকতে পারে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।