“মা-বাবা কে জানি না। ছোট থেকেই রেলস্টেশনে থাকি। সারাদিন বোতল কুড়িয়ে আর ভিক্ষা করে, যা পাই তা দিয়ে খাই। আবার রাত হলে স্টেশনে ঘুমাই।”
Published : 02 Mar 2024, 07:48 PM
রেলস্টেশন অনেক পথশিশুরই ঠিকানা। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনেও দেখা মেলে এমন অনেক শিশুর।
সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। তারা জানায় নানা দুর্দশার কথা।
তাদের মধ্যে একজন জীবন। সে জানে না তার এই নামটি কে রেখেছে।
হ্যালোকে সে বলছিল, “মা-বাবা কে জানি না। ছোট থেকেই রেলস্টেশনে থাকি। সারাদিন বোতল কুড়িয়ে আর ভিক্ষা করে, যা পাই তা দিয়ে খাই। আবার রাত হলে স্টেশনে ঘুমাই।”
সৈয়দপুর রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে মামুন নামের আরেক পথশিশু। হ্যালোকে মামুন জানায়, তারা বেশিরভাগ সময় মানুষের খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়।
সে বলে, “মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইলে দেয় না। বেশিরভাগ সময় মানুষের খারাপ ব্যবহারের শিকার হই।
“কখনো কখনো বোতল কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করি। যা টেহা পাই, তাই দিয়া খাই।”
সৎমা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় শিশু রোমিওকে। এরপর থেকে রেলস্টেশনেই জীবন কাটে তার। অন্য পথশিশুদের মতো একই জীবনধারা তারও।
সে বলে, “মা মারা যাওয়ার পর বাবা আরো একটা বিয়ে করে। এরপর সৎমা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর থেকে পথে পথে ঘুরে বেড়াই।”
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানব কল্যাণ পরিষদের (এমকেপি) সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম হ্যালোকে বলেন, “এসব পথশিশুদের নামের সামনে যুক্ত হতে পারে মেধাবী, চ্যাম্পিয়ন কিংবা গর্বিত করা অনেক কিছু শব্দ। কিন্তু এসবের জন্য প্রয়োজন শিশু বেড়ে উঠার সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ।”
গণমাধ্যম ও মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির (এনপিএস) রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক সহিদুল ইসলাম মনে করেন এই শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে পারলে তাদের মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। তিনি বলেন, “পথশিশুদের শিক্ষিত করব কার্যক্ষেত্রে যুক্ত করতেই পারলেই তাদের মানব সম্পদ রূপান্তর সম্ভব।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: নীলফামারী।