তবে দাবানলের জন্য বজ্রপাত বেশি দায়ী, এটা বলছে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আর্থ ডট ওআরজি।
Published : 15 Jan 2025, 07:03 PM
দাবানলের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা পরিচিত নয় বা আমরা কেবলই দূর দেশের ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের ঘটনা আমাদের মনেও যেন ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে এত ক্ষমতাধর দেশ যেখানে নাকানিচুবানি খাচ্ছে, সেখানে এমন বিপদে পড়লে আমাদের পরিণতি কী হতে পারে!
এটি এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা মানবসৃষ্ট কারণেও হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দাবানলের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে বলে মনে করা হয়। তাহলে এই দুর্যোগ সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞান ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি। দাবানল প্রসঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, এটি এক ধরনের অনিয়ন্ত্রিত অগ্নিকাণ্ড। সাধারণত প্রান্তিক বনভূমি এলাকা থেকে এর সূত্রপাত ঘটে। বনের শুষ্ক পাতা, ডাল, মৃত গাছ এসবে কোনো কারণে আগুন লাগলে দাবানলের ঘটনা ঘটে। যা ক্রমান্বয়ে লোকালয়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে দাবানলের জন্য বজ্রপাত বেশি দায়ী, এটা বলছে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আর্থ ডট ওআরজি। তাদের সাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে শতকরা ৬০ ভাগ দাবানল হয় বজ্রপাতের কারণে। এছাড়া বজ্রপাত ছাড়াও ক্যাম্প ফায়ার, গ্যাস বা বিদ্যুতের সংযোগ থেকেও এর সূত্রপাত ঘটতে পারে।
২০১৮ সালে ক্যাম্প ফায়ার থেকে সূত্রপাত ঘটা এক দাবানলের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওই নিবন্ধে। সেই দাবানলটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গোটা একটি শহরকে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
আর্থ ডট ওআরজি থেকে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সাইবেরিয়ায় এক মিলিয়ন হেক্টর জমি দাবানলে পুড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার এক বিলিয়ন প্রাণী মারা গেছে আর ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে শত শত ভবন ধ্বংস হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাবানলের কোনো পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। এটা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের দুর্যোগও নয়, যেকোনো অঞ্চলেই দাবানলের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত দীর্ঘদিনের পুরোনো শুষ্ক বনাঞ্চলে দাবানলের সূত্রপাত ঘটতে দেখা যায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।