লালন ফকির তার গভীর দর্শন দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন। তার গানে মানুষের মুক্তির কথা প্রকাশ পেয়েছে।
Published : 17 Oct 2024, 12:13 PM
বাউল সম্রাট লালন শাহ ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক, যিনি ফকির লালন বা লালন সাঁই নামেও পরিচিত।
একেক জনের কাছে তার পরিচিতি একেক নামে হলেও, লালনের দর্শন ও জীবনবোধ সবাইকে একই শিক্ষা দেয়।
তিনি কেবল একজন বাউল গায়ক নন, বরং সমাজ সংস্কারক ও মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন।
লালন ফকির তার গভীর দর্শন দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন। তার গানে মানুষের মুক্তির কথা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত বিভেদের ঊর্ধ্বে মানবতাকেই সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা থেকেই তিনি তার গানগুলো রচনা করেন, যা মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সাম্যের বার্তা ছড়ায়।
ব্রিটিশ শাসনামলে যখন হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ বাড়ছিল, লালন ছিলেন এর তীব্র বিরোধী। তিনি সবসময় মানুষে মানুষে বিভাজন অস্বীকার করে ঐক্যের কথা বলতেন।
লালন ১৭৭২ বা মতান্তরে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘ এই জীবনে লালন প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেন। যদিও তিনি শিক্ষিত ছিলেন না, তবু তার গানের গভীর ভাব ও ভাষা আজও মানুষের মনে অটুট আবেদন ধরে রেখেছে।
লালন মানুষকে জাতি-ধর্ম-বংশের ঊর্ধ্বে পরিচয় দিয়েছেন। তাই মৃত্যুর শত বছর পরেও তার গান আজও প্রাসঙ্গিক। কেননা মানব পরিচয়ে লালনের জীবনদর্শন সত্যিই সর্বকালে সত্য।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।