“মাংস খাওয়াটা নির্ভর করে যে কোনো শিশুর বয়স, ওজন এবং উচ্চতার উপর।”
Published : 07 Jun 2025, 03:51 PM
কোরবানির ঈদে মাংস খাওয়ার পরিমাণ হঠাৎ বেডে যায়, যা শিশুর স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সময়টাতে খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে মনে করিয়ে দিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা। তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
হ্যালো: শিশু-কিশোরদের কতটুকু মাংস খাওয়া উচিত?
সৈয়দা শিরিনা: মাংস খাওয়াটা নির্ভর করে যে কোনো শিশুর বয়স, ওজন এবং উচ্চতার উপর। সাধারণত শিশুদের দেহের প্রতি কেজি ওজনের জন্য এক থেকে দেড় গ্রাম প্রোটিন দরকার হয়। তবে যারা বেশি খেলাধুলা করে তাদের দুই গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন দরকার হতে পারে।
হ্যালো: যদি শিশুর গ্যাস্ট্রিক থাকে?
সৈয়দা শিরিনা: যেসব শিশু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগে, তাদের গরুর মাংস খাওয়াটা নিরুৎসাহিত করি। কারণ এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে। তবে যদি খেতেই হয়, তাহলে গরুর মাংস কম তেল, কম মসলা দিয়ে পাতলা ঝোল করে রান্না করতে হবে। এতে হজম সহজ হবে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে।
হ্যালো: গরু ও খাসির মাংসের মধ্যে পুষ্টিগত পার্থক্য কতটা?
সৈয়দা শিরিনা: গরু ও খাসির মাংসে কিছু পুষ্টিগত পার্থক্য আছে। খাসির মাংসে আয়রন, তেল-চর্বি এবং মিনারেল বেশি থাকে, তাই পুষ্টিগুণ এটি এগিয়ে। তবে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে এতে একটি বিশেষ গন্ধ থাকে যা অনেক শিশু পছন্দ করে না। সে তুলনায় গরুর মাংসের গন্ধ কম বলে অনেক শিশুই এটি বেশি পছন্দ করে।
হ্যালো: ঈদের সময় বিরিয়ানি, পোলাও, কাবাব, রোস্ট, বারবিকিউসহ নানা খাবারে ভরপুর থাকে টেবিল। শিশুরা কোনটা খাবে আর কোনটা এড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন?
সৈয়দা শিরিনা: সকালবেলায় যে মিষ্টান্ন থাকে তা খাওয়া যাবে। দুপুরে পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, কাবাব সবই খাওয়া যাবে তবে পরিমিতভাবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। খাবারের সঙ্গে সালাদ ও লেবু রাখা উচিত, কারণ লেবু হজমে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে একটু বোরহানি
হলেও তা হজমে সহায়তা করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেরা রাখা। বেশি খেলেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সতর্কতা আর সচেতনতা থাকলেই ঈদের খুশি ও সুস্থতা একসঙ্গে উপভোগ করা সম্ভব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।