রাবার বাগানে পৌঁছে চারদিকে সবুজ দেখে মনটা ভরে উঠল।
Published : 23 Apr 2025, 07:59 PM
আমরা ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসি। আমি, মা, বাবা আর ভাই মিলে সময় সুযোগ পেলেই ঘুরি। কিছুদিন আগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে রাবার বাগান দেখতে গিয়েছিলাম।
যাত্রার দিন সকাল ১১ টায় আমরা বাড়ি থেকে রওনা দেই। আমাদের বাড়ি শেরপুরে। আমাদের জেলা থেকে মধুপুরের দূরত্ব প্রায় ৫৭ কিলোমিটার।
গাড়ি ছাড়ার পর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে মনটা নেচে উঠল। দুই দিকে সবুজ ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে সাঁইসাঁই করে আমাদের গাড়ি চলছে। তখন কী যে ভালো লাগছিল। বাড়ি থেকে রাবার বাগানের দূরত্ব অনেক হলেও পথটা চোখের পলকেই শেষ হয়ে যায়।
রাবার বাগানে পৌঁছে চারদিকে সবুজ দেখে মনটা ভরে উঠল। যতদূর চোখ যায় সারি সারি লম্বা রাবার গাছ আর গাছের ছায়ায় ঢাকা পথ। মন চেয়েছিল ছায়ায় বসে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
আমার ছোট ভাইয়ের গাছের ফাঁকে ফাঁকে দৌড়ানো, পাশেই ধীরে ধীরে মা-বাবার হেঁটে বেড়ানোর দৃশ্য আমার মনে গেঁথে থাকবে আজীবন।
আমরা সেখানে গারো আদিবাসিদের জীবনযাপন দেখতে পাই। বাবা আমাদের মধুপুরের বিখ্যাত আনারস খাওয়ান। ফেরার পথে আমরা বাড়ির জন্যও আনারস কিনি।
আমরা রাবার বাগানে তিন ঘণ্টা ছিলাম। এই তিন ঘন্টা কোনো ব্যস্ততা ছাড়া নিরিবিলি বসে, হেঁটে, নিজেদের মধ্যে গল্প করে কাটিয়ে দিলাম। মনে হলো চোখের পলকে সময় শেষ হয়ে গেল।
পরিবারের সঙ্গে পুরো দিনটা আমি বেশ উপভোগ করেছি। এই দিনটি আমার জীবনের অনিন্দ্য সুন্দর এক স্মৃতি হয়ে থাকবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: শেরপুর।