বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস
বলা হয়, বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই শুধু আনন্দ দেয় না, বরং জীবন গড়ার পথও দেখায়।
Published : 23 Apr 2025, 05:14 PM
বই আমাদের জ্ঞানের বন্ধু, যা চিন্তার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। আর কপিরাইট সেই বন্ধুর প্রহরী, যা লেখকের মেধাস্বত্ব রক্ষা করে। লেখকদের কৃতিত্বকে সম্মান জানানো ও পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল পালন করা হয় বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস।
এই দিনটি সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৬১৬ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সাহিত্যের তিন কিংবদন্তি—উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, মিগেল দে সারভান্তেস এবং ইংকা গারসিলাসো দে লা ভেগা। তাই ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কো উদ্যোগ নেয় এই দিনটিকে বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস হিসেবে পালন করার। এরপর ১৯৯৬ সাল থেকে দিবসটি পালন করা শুরু হয়।
ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই দিনটির ঐতিহাসিক ভিত্তি এসেছে স্পেনের ‘লা দিয়াদা দে সান্ত জর্ডি’ উৎসব থেকে, যেখানে প্রিয়জনকে লাল গোলাপ ও বই উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে।
বলা হয়, বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই শুধু আনন্দ দেয় না, বরং জীবন গড়ার পথও দেখায়। বইয়ের পাতায় পাতায় থাকে জ্ঞানের আলো, কল্পনার ডানা, আর সাহসী হওয়ার প্রেরণা।
আর এই সৃজনশীলতা যাতে নিরাপদ থাকে, তা নিশ্চিত করে কপিরাইট আইন। এর মাধ্যমে লেখকেরা তাদের কাজের ন্যায্য মর্যাদা পান এবং প্রকাশকরা সাহস পান নতুন বিনিয়োগ করতে।
বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবসের এবারে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সাহিত্যের ভূমিকা’।
এই থিমের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, সাহিত্য শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা বিস্তার, এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনেস্কো প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রকাশক, গ্রন্থাগার ও বিক্রেতা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে একটি শহরকে ‘বিশ্ব বই রাজধানী’ হিসেবে নির্বাচন করে। এ পদবি পাওয়ার পর শহরটি বছরজুড়ে বই ও পাঠচর্চা নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়।
২০২৫ সালের জন্য ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাজধানী রিও ডি জেনিরোকে বিশ্ব বই রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।