বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইও) বলছে, প্রতিবছর ধূমপানের কারণে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
Published : 20 Oct 2025, 08:13 PM
আজ সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় একটি দৃশ্য আমার মনে গভীর দাগ কেটেছে। এক অটোরিকশা চালক ধূমপান করতে করতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার পাশের আসনে ছিল এক স্কুল শিক্ষার্থী, আর পেছনে বসেছিলেন নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসক।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় তারা কেউই কিছু বললেন না। চালক যেন নিজের ইচ্ছেমত ধোঁয়ার আস্তরণ তৈরি করে চলেছেন। তখন দেখছিলাম, তার পাশে বসা ওই শিক্ষার্থী বারবার নাক চেপে ধরছিল, চোখে-মুখে অস্বস্তি স্পষ্ট।
আমি দূর থেকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এই নীরবতা আসলে আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। পরোক্ষ ধূমপান বা সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মোকিং নিছক এক ধরনের অস্বস্তি নয়, এটি এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি। অথচ এটা আমরা অনেকেই জানি না বা বিশ্বাস করতে চাই না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইও) বলছে, প্রতিবছর ধূমপানের কারণে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে ১২ লাখই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। অথচ আমাদের দেশে গণপরিবহনে ধূমপান আইনত নিষিদ্ধ, তবুও বাস্তবে কেউ সেই আইন মানে না, আর কেউ প্রতিবাদও করে না।
সবচেয়ে দুঃখজনক হল, যিনি চিকিৎসক হয়ে স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রতীক হওয়ার কথা, তিনিও নীরব ছিলেন। এই নীরবতা আমাদের সামাজিক উদাসীনতার প্রতীক।
আমাদের এখনই বদলাতে হবে এই সংস্কৃতি। পরোক্ষ ধূমপানের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও আইনি প্রয়োগ একসঙ্গে জোরদার করা প্রয়োজন। অন্যথায়, এই নীরব বিষ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিঃশ্বাস কেড়ে নেবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।