‘পথশিশু আয়েশা আক্তারের স্বপ্ন জানতে চাইলে সে জানায়, “আমাগো স্বপ্ন নাই, লেহাপড়া করার ইচ্ছা থাকলেও করাবে কেডা? বাড়ি নাই, বাপেও নাই; আর মায়ে তো অসুস্থ।’
Published : 02 Nov 2023, 05:41 PM
বাংলাদেশের অন্যান্য রেল স্টেশনের মতো ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশনেও অনেক পথশিশুর দেখা মেলে।
জীবিকার তাগিদে বা ভিন্ন ভিন্ন কারণে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে এইসব শিশুরা এখানে বাস করে। এদের কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে আবার কেউ নানা ধরনের জিনিস ফেরি করে বিক্রি করে।
ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশনে কয়েকজন পথশিশুর সঙ্গে কথা হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তাদের একজন দশ বছর বয়সি আয়েশা আক্তার। অনেক ছোট থেকেই বিমানবন্দর রেল স্টেশন থাকে সে। আয়েশা বলে, “দিনের অধিকাংশ সময় স্টেশনেই কাটাতে হয়। আমার বাবা নেই, অসুস্থ মা ভিক্ষা করেন। স্টেশনই আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল।”
সে আরো জানায়, তাকে হাত পেতে ভিক্ষা করে খেতে হয়। বেশির ভাগ সময় মানুষের খারাপ ব্যবহারের শিকার হতে হয় তাকে।

পথশিশু আয়েশা আক্তারের স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায়, “আমাগো স্বপ্ন নাই, লেহাপড়া করার ইচ্ছা থাকলেও করাবে কেডা? বাড়ি নাই, বাপেও নাই; আর মায়ে তো অসুস্থ।”
এসময় আরিফ হোসেন নামের নয় বছরের আরেক জন পথশিশুর সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। স্টেশনে ঘুরে ঘুরে পপকর্ণ বিক্রি করছিল সে।
আরিফ জানায়, মাঝে মধ্যে বেলুন ও মাথায় করে পানিসহ বিভিন্ন খাবার ফেরি করে বিক্রি করে সে। পেটের দায়ে দিন রাত তাকে এই কাজ করতে হয়।

আরিফ বলে, “আমি মাঝে মধ্যে ভিক্ষা করে টাকা জমিয়ে এই ধরনের ব্যবসা করি। অসুস্থ হয়ে গেলে ওষুধ কিনতে গেলে সব টাকা শেষ হয়ে যায় আমার। অনেক সময় জ্বর হলে ঔষধ খেতে পারি না।”
এই পথশিশুরা জানায়, তারা ভালো ভাবে ঘুমাতেও পারে না। কারণ তাদের থাকার জায়গা নেই। স্টেশনে ঘুমালে অনেক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাদেরকে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।