সচরাচর কলেজে ক্লাস করা ছাড়া মাঠে বসে আড্ডা দেয়া বা পড়া কোনোটারই সুযোগ হয় না।
Published : 08 Sep 2025, 07:32 PM
সবুজ খোলা মাঠ আমার খুব পছন্দের। কিন্তু আমার স্কুলে এমন কোনো মাঠ ছিল না। কলেজে উঠার পর সবুজ ঘাসে ভরা একটি মাঠ পেয়েছি। কয়েকদিন আগে এই সবুজ মাঠে বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করেছি।
সবুজ খোলা মাঠ আমার খুব পছন্দের। কিন্তু আমার স্কুলে এমন কোনো মাঠ ছিল না। কলেজে উঠার পর সবুজ ঘাসে ভরা একটি মাঠ পেয়েছি। কয়েকদিন আগে এই সবুজ মাঠে বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করেছি।
সেদিন সকাল ১০টায় ছিল পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাস। আমি কলেজে পৌঁছাই নয়টায়। প্রকৃতিটা সেদিন যেন একটু বেশিই প্রানবন্ত ছিল। তবে আমার মনটা একটু বিষণ্ণ ছিল, বন্ধুদেরও নাকি একই অবস্থা। তাই কোনোভাবেই ক্লাস করতে ইচ্ছে হয়নি।
আমার বান্ধবী অনামিকা স্যারকে এই কথাটা বলেই ফেলে। কিন্তু স্যার ক্লাস নেবেনই। কারণ, সামনেই আমাদের পরীক্ষা। তিনি আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন দিয়ে এগুলোর সমাধান বের করতে বললেন।
এরপর আমরা গোলাকার হয়ে বসে পড়লাম কলেজ মাঠে। কলেজ প্রাঙ্গণ তখনও অনেকটা খালি। তেমন কেউ নেই আশপাশে। এর মাঝে স্নিগ্ধ বাতাস আর ফুলের সুবাস যেন মন কেড়ে নিচ্ছিল।
তাই, একবার ভাবলাম আড্ডা দেব আর গান গাইব। কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়ল সামনেই পরীক্ষা। তাই ঠিক হল পড়াশোনাই করব।
সবাই মিলে আলোচনা করে পড়ছিলাম। একজন আরেকজনকে তাপগতিবিদ্যা ও চল তড়িৎ সম্পর্কিত বিভিন্ন সূত্র জিজ্ঞেস করছিলাম। প্রশ্ন শুনে অন্যজন উত্তর দিচ্ছিল। এর ফাঁকে ফাঁকে আড্ডাও চলতে থাকল।
কথায় কথায় পদার্থ বিজ্ঞান ছেড়ে চলে গেলাম রসায়নে। মার্কনিকভের বিপরীত সূত্র, বেনজিনের বিক্রিয়া ঝালাই হয়ে গেল অল্প সময়ে।
মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট ঘাসে বসেছিলাম আমরা। এতেই যতটা পড়া হয়েছে বাসায় একা একা এতটুকু হত না বলেই মনে হল।
সাড়ে নয়টার পর থেকেই কলেজে লোকসমাগম বাড়তে শুরু করে। এরপর ঘন্টা পড়লে আমরা উঠে পড়ি এবং ক্লাসে চলে যাই।
সচরাচর কলেজে ক্লাস করা ছাড়া মাঠে বসে আড্ডা দেয়া বা পড়া কোনোটারই সুযোগ হয় না। মাঝে মাঝে লাইব্রেরিতে বসি, তাও আমি একা। তাই সেদিনের গ্রুপ স্টাডি আমার জীবনে এক সুন্দর স্মৃতি হয়েই থাকবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭৷ জেলা: ঢাকা।