আমার মনে হয়, সুস্থতা ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আমাদের দেশে সাইকেল চালানোকে আরও বেশি উৎসাহিত করা দরকার।
Published : 05 Jun 2025, 09:44 PM
আমি বেশ ছোটবেলাতেই সাইকেল চালানো শিখেছি। তারপর থেকে কোথাও কাছাকাছি যেতে হলে সাইকেলই আমার ভরসা।
আমি মনে করি, সাইকেল চালানো মানে শুধু শরীরচর্চা নয়। এটা বরং পরিবেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করারও একটি উপায়। কারণ সাইকেল থেকে কোনো ধোঁয়া হয় না, পেট্রোল বা ডিজেল লাগে না। নেই কোনো শব্দদূষণও। তাই এটি পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব এক বাহন।
তাই সকালে বা বিকেলে স্কুল, লাইব্রেরি কিংবা আশপাশে কোথাও যেতে হলে আমি সাইকেলকে বেছে নিই। এতে আমার শরীর যেমন ভালো থাকে, তেমনি পরিবেশও রক্ষা পায়।
তাই সাইকেল চালিয়ে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমি পরিবেশের বন্ধু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখেছি, প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিট সাইকেল চালালেই মৃত্যুঝুঁকি অন্তত ১০ শতাংশ কমে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় প্রায় ১০ শতাংশ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
একই প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'ইউরোপিয়ান রিজিওনাল ওবেসিটি রিপোর্ট ২০২২' এর বরাতে বলা হয়েছে, ইউরোপে দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রতি তিনজনে একজন শিশু অতিরিক্ত ওজনে ভুগছে। এতে বলা হয়েছে, এই শারীরিক জটিলতা কাটানোর একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান হতে পারে সাইকেল চালানো।
আমার পরিবার সেনানিবাস এলাকায় থাকে। এখানে প্রায় সবাই সাইকেল চালায়। ছোট-বড় সবাই সাইকেল ব্যবহার করে। তাই এখানে ট্রাফিক নেই বললেই চলে। এতে পরিবেশটাও সুন্দর থাকে। তবে বাইরে কোথাও গাড়ি বা বাসে গেলে অনেক বিরক্ত লাগে। ধোঁয়া, শব্দ আর হর্ন- সব মিলিয়ে খুব অস্বস্তি লাগে।
আমার মনে হয়, সুস্থতা ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আমাদের দেশে সাইকেল চালানোকে আরও বেশি উৎসাহিত করা দরকার। আর এই জন্য নিরাপত্তার দিকটাতেও নজর দিতে হবে। তাই সাইকেল চালানোর জন্য দরকার আলাদা নিরাপদ রাস্তা, পার্কিং সুবিধা ও সাইকেলবান্ধব শহর পরিকল্পনা।
আমরা যদি বাহন দিকে সাইকেলের ব্যবহার বাড়াতে পারি তাহলে তা সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্নকে কিছুটা হলেও এগিয়ে নেবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।