সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসিকবান্ধব করার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।
Published : 28 Jul 2025, 09:54 PM
শিক্ষার্থীদের দিনের একটা বড় অংশ কাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘ এই সময়ে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য শৌচাগার একটি অপরিহার্য অবকাঠামো।
তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছে, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব রয়েছে। ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকলেও এর শৌচাগারের মান ও ব্যবহার উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো মাসিক সহায়ক নিরাপদ শৌচাগার ব্যবস্থা নেই। কখনো কখনো সেখানে পরিষ্কার পানি ও টিস্যুর অভাব দেখা যায়। অথচ এমন একটি পরিবেশ পাওয়া কোনো বিলাসিতা নয়, এটি আমাদের অধিকার।
দেরিতে হলেও অনেক স্কুল-কলেজ ন্যাপকিনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রাপ্তিস্থান শৌচাগারের কাছে থাকে না। আমার প্রশ্ন হল ছাত্রীদের টয়লেটে মাসিকের উপকরণ রাখলে ক্ষতি কী?
আসলে বেশিরভাগ শৌচাগারের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর হওয়াতে এর ভেতরে এসব উপকরণ রাখার মত পরিবেশ থাকে না। এতে উপকরণগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।
তাহলে বলতে হবে যে, সব সমস্যার মূলে রয়েছে অপরিচ্ছন্নতা। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব থাকলে এমন পরিস্থিতি হয়ে থাকে।
আমি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও আয়োজনে অংশ নিতে আমার স্কুল ছাড়াও অনেক স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও গিয়েছি। অনেক প্রতিষ্ঠান সাজসজ্জার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও তাদের শৌচাগারে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা দেখেছি।
সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসিকবান্ধব করার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। এসব শুধু সরকার কিংবা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর একক দায়িত্ব নয়; বরং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচিত নিজে থেকেই এগিয়ে আসা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।