সূর্য উঠলে সবাই উঠানে বসে রোদ পোহায়।
Published : 04 Nov 2025, 10:25 PM
বাংলাদেশের শীতকাল সাধারণত অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে হয়, অর্থাৎ মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে।
ডিসেম্বর মাসে শেষ হয় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা, আর তখন শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৫ দিনের মত ছুটি পায়। এ সময় কেউ ভ্রমণে যায়, কেউবা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়।
আমি তাদেরই একজন। প্রতি বছর পরীক্ষার পর আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাই। শীতকালে গ্রামের পরিবেশ আমার কাছে সত্যিই অসাধারণ লাগে।
ভোরে ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়। সূর্য ওঠে দেরিতে। সূর্য উঠলে সবাই উঠানে বসে রোদ পোহায়।
সকালে সবাই গরম কাপড় পরে মাঠে যায়, কেউ আগুন জ্বালিয়ে গল্প করে, কেউবা চা পান করে।
এই ছুটিতে আমাদের সব কাজিনরা একত্র হই। সবাই মিলে হাসি-আনন্দে দিন কাটে। সকালে একসঙ্গে আগুন পোহাই,
সাধারণত নানুর সঙ্গে ক্ষেতে যাই ফসল দেখতে। সোনালি সরিষা ফুলের মাঠ দেখে মন ভরে যায়। এরপর নানুর সঙ্গে টাটকা খেজুরের রস খাওয়া হয়।
শীতের দুপুরে গোসলের পর উঠানে বসে রোদ পোহানো আমার কাছে খুব আরামদায়ক লাগে। বিকেলে শুরু হয় আমাদের প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন। রাতে উঠানে বাতি জ্বালিয়ে আবার খেলি, এছাড়াও আগুনের পাশে বসে গল্প করি।
সন্ধ্যায় লেপের নিচে পা গরম করে বসে মুড়ি মাখা, চা, বিস্কুট আর পেঁয়াজু খাওয়ার আনন্দই আলাদা। মা ও নানুরা রাত জেগে মাটির চুলায় পিঠা বানায়, গল্প করে।
শীতজালে কৃষকেরা ধান কাটা শেষ করে নতুন ফসল ঘরে তোলে। কেউ বিশ্রাম নেয়, কেউবা শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত থাকে।
শীতকালে গ্রামের পরিবেশ শান্ত, ঠান্ডা ও আনন্দে ভরা থাকে। আমি প্রতি বছর এই শীতের ছুটির অপেক্ষায় থাকি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: টাঙ্গাইল।