"তাহলে কি দূষিত বাতাস থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব? না, একদমই নয়! সমাধান আছে।"
Published : 31 Oct 2025, 10:07 PM
ঝকঝকে নীল আকাশ আর ঝিরিঝিরি বাতাস দেখলেই আমার খুব আনন্দ হয়, গাইতে ইচ্ছে করে 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!' কিন্তু মন চাইলেই গাইতে পারি না। বাতাসের দূষণ আমাকে মন খুলে গাইতে দেয় না।
ঢাকার বাতাসের ধূলা আর দূষণ আমাদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। এই বাতাসে ভাসছে বিষাক্ত কণা যা আমাদের স্বপ্নকে ধীরে ধীরে ফিকে করে ফেলছে।
ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব শহরের বাতাসই আজ দূষিত। প্রতিদিন আমরা সেই বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি, স্কুলে যাচ্ছি, খেলতে যাচ্ছি। এ যেন জেনে-শুনে বিষ পান করার মতো।
বায়ুদূষণ সম্পর্কে আমরা কি জানি? বাতাসে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, ধূলা এবং নানা ছোট রাসায়নিক কণার মিশ্রণ ঘটলে এই দূষণ হয়।
আমাদের ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হল- গাড়ি, কল-কারখানা, ইটভাটা ও আবর্জনা পোড়ানোর কালো ধোয়া, নির্মানকাজের ধুলা।
এই দূষিত বাতাসের কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন কাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, মাথাব্যথা ইত্যাদি। বায়ুদূষণের ফলে শিশুরা বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে, কারণ ছোটবেলা থেকে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিলে তাদের ফুসফুস ঠিকভাবে গঠিত হয় না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, আর তারা বারবার অসুস্থ হয়।
তাহলে কি দূষিত বাতাস থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব? না, একদমই নয়! সমাধান আছে। যদিও পুরোপুরি দূষণ বন্ধ করা যায় না, কিন্তু আমরা চাইলে তা অনেকটা কমাতে পারি। সরকারি, বেসরকারি নানা উদ্যোগ ও আমাদের সদিচ্ছাই পারে বায়ুদূষণ কমিয়ে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।