সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটু হলেও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারি।
Published : 21 Jan 2025, 08:03 PM
আমি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বাস করি। এখানকার বাসিন্দাদের অতিবৃষ্টি, বন্যা, নদী ভাঙন ও খরার মত নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রায়ই লড়াই করতে হয়।
প্রকৃতির এই বিরুপ আচরণের জন্য এই এলাকার কৃষককে নানা দুঃখ-দুর্দশার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। একবার বিপদ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই নতুন আরেকটি বিপদ হানা দেয়।
অতিবৃষ্টি হলে সোনার ফসল জলে তলিয়ে যায়। এতে যেমন ফসল নষ্ট হয় তেমনি পানি না নামা পর্যন্ত নতুন চারা রোপণ করাও সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদ থেকে কৃষকের যেটুকু উপার্জন হতো তাও বন্ধের উপক্রম হয়।
প্রকৃতির এমন আচরণের প্রভাব কৃষকের পুরো পরিবারের উপর পড়ে। অনেকে অর্থের অভাবে মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়, পড়াশোনা ছেড়ে তারা শ্রমে যুক্ত হয়েছে।
আমার মনে হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। আর এই পরিবর্তন যেহেতু বন্ধ করা সম্ভব না তাই আমাদের অভিযোজন করা শিখতে হবে। এজন্য কৃষিখাতকে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করি।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটু হলেও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নড়াইল।