জানতে পারি, জাপানি শিশুরা নিয়মিত তাদের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করে।
Published : 23 Sep 2025, 08:11 PM
শৈশবে যা শেখা হয় তা অনেকদিন মনে থাকে। তাই শিশুদের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে জানানো খুবই দরকার।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্থতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কিন্তু প্রশ্ন হল শিশুরা এই অভ্যাস শিখবে কোথায়?
কয়েকদিন আগে ইন্টারনেটে জাপানের শিশুদের স্কুল পরিষ্কার করার অভ্যাস নিয়ে একটি নিবন্ধ পড়েছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারি, জাপানি শিশুরা নিয়মিত তাদের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করে। প্রতিদিনের পড়াশোনার পাশাপাশি তারা নিজেরাই শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা এমনকি টয়লেট পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে পরিষ্কার করে।
এই শিশুরা দুপুরের খাবারের পর প্রায় ২০ মিনিট সময়কে শ্রেণিকক্ষ ও বারান্দা পরিষ্কার করার জন্য ভাগ করে নেয়। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে তখন বিদ্যালয়ে এক ধরনের সংগীত বাজানো হয়। শিশুরা তখন সংগীতের তালে তালে নিজেদের কাজ করে।
এই রুটিন সপ্তাহে চারদিন চলে। সাধারণত বুধ ও শনিবার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয় না। সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে পুরো স্কুল আঙিনাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানও পরিচালনা করা হয়।
এটা নয় যে জাপানের স্কুলে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। প্রতিটি স্কুলেই কর্মী থাকে। তারা মূলত নর্দমা পরিষ্কার, যন্ত্রপাতি মেরামত এবং স্কুল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে। কিন্তু প্রতিদিনের ঝাড়ু দেওয়া, টেবিল-মেঝে মোছা বা জানালা পরিষ্কার করার কাজ শিক্ষার্থীরাই করে থাকে।
জাপানে এই কার্যক্রমকে শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নয়; বরং শিক্ষার একটি অংশ মনে করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা শেখে কিভাবে নিজের ব্যবহার করা জায়গার যত্ন নিতে হয়।
আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের স্কুলগুলোতেও যদি প্রতিদিন ক্লাস শেষে ১০-১৫ মিনিট শিক্ষার্থীরা নিজের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করে, তবে ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মানসিকতা তৈরি হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।