শুধু ভালো ছাত্র বা ছাত্রী বানালেই হবে না, তাদের মানুষ হতে শেখাতে হবে।
Published : 22 Jul 2025, 07:20 PM
অবসরে শিশুরা ছবি আঁকবে, গান গাইবে, নাচ শিখবে কিংবা মাঠে খেলবে। এমনটাই তো হওয়া উচিত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিশুদের দিনলিপি বদলে যাচ্ছে।
তারা এখন রোজ সকালে ভারি একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়। সারাদিন স্কুল, বিকেলে কোচিং, সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষক, এরপর বাড়ির কাজ করতে করতেই তার সময় কেটে যায়।
একটি শিশু রোজ গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে তারা খেলাধুলা, গান কিংবা নাচের মত সৃজনশীল কাজে সময় দিতে পারে না। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মত যেন কোনো অবসর নেই তাদের।
অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানকে ভালো ছাত্র বানানোর উদ্দেশ্যে পড়াশোনাকেই একমাত্র পথ ভাবেন। তারা ভুলে যান শিশুরও চাওয়া-পাওয়া আর স্বপ্ন আছে।
অনেক অভিভাবক কেবল জিপিএ-৫ এর দিকেই মনোযোগ দেন। এতে শিশুর জীবন কঠিন কাঠামোর ভেতরে আটকে যায়। নিজস্ব কল্পনার জগতে পা রাখার সুযোগ সে পায় না।
আজকের এই শিশুদের কেউ হয়ত আগামীতে শিল্পী হবে, কেউ লেখক, কেউবা গবেষক। আমরা যদি কেবল বইয়ের ভার চাপিয়ে তাদের ভাবনার জানালা বন্ধ করে দিই, তবে হয়ত আমরা হারাব অনেক সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে।
শুধু ভালো ছাত্র বা ছাত্রী বানালেই হবে না, তাদের মানুষ হতে শেখাতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন সৃজনশীলতার চর্চা, উপলব্ধি আর অনুভব করার সুযোগ তৈরি করা। তাই আমাদের স্কুলগুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন, নাচ, গান বা খেলাধুলার মত সহশিক্ষাগুলোকে বাধ্যতামূলক করা উচিত।
কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভরতা কমাতে হবে যেন শিশু নিজের মত করে বেড়ে উঠতে পারে। নিজেকে জানার জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।