‘অনেকের কাছে স্কুলে যাওয়াই হয়ত এখন এক ভয়ের কারণ।’
Published : 27 Jul 2025, 08:51 PM
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছে শিশুরা। প্রাণ হারানোদের তালিকায় অধিকাংশই তারা।
যারা বেঁচে ফিরেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আহত এবং চিকিৎসাধীন। ভাগ্য ভালো হলে তারা শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে, কিন্তু সহজে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে?
সেদিন স্কুলে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনেকেই চোখের সামনে সহপাঠী ও বন্ধুদের করুণ পরিণতি দেখেছে। এত অল্প বয়সে এমন দৃশ্য তাদের মনে অবশ্যই গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
তাদের অনেককেই হয়ত এখন দুঃস্বপ্ন তাড়া করে, অনেকের কাছে স্কুলে যাওয়াই হয়ত এখন এক ভয়ের কারণ। যা তাদের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত হানতে পারে।
এই ধরনের ঘটনার পর শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই ‘ট্রমা’ বা মানসিক আঘাতে আক্রান্ত হতে পারে। এখনই এই বিষয়ে মনোযোগ না দিলে তা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমি মনে করি, মাইলস্টোনে এই দুর্ঘটনায় আহত, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা স্কুলের যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্যই মানসিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়ে অভিভাবক, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, শিক্ষক এবং সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: রংপুর।