পাখিদের চাল খুটে খাওয়ার দৃশ্য ছিল আমার জন্য খুবই আনন্দের।
Published : 12 Oct 2025, 10:45 PM
ছোটবেলায় যখন গ্রামে থাকতাম তখন বাড়ির চারপাশে পরিচিত-অপরিচিত অনেক পাখি দেখতে পেতাম।
গ্রামের বাড়িতে আমাদের ঘরের পেছনে নারিকেল গাছ ছিল। সেখানে প্রায়ই বিভিন্ন পাখি বাসা দেখতে পেতাম। এমনকি আমাদের ঘরের ভেন্টিলেটরের ভেতর একবার চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছিল।
এছাড়া আমাদের উঠানে একটু চাল বা খাবার জাতীয় কিছু ফেললেই নানান প্রজাতির পাখি এসে হাজির হত। পাখিদের চাল খুটে খাওয়ার দৃশ্য ছিল আমার জন্য খুবই আনন্দের।
এই দৃশ্যের চেয়ে দ্বিগুণ আনন্দের হল বাবুই পাখির বাসা দেখা। সাধারণত তাল গাছে বাসা তৈরি করে এই শিল্পী পাখি। নিখুঁত আর এতই সৃষ্টিশীল কাজ যে বাবুইকে শিল্পী না বলে উপায় নেই। বাড়ির পাশে এক গাছেই দেখতাম শত শত পাখির বাসা।
তবে সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হল, এখন আর আগের মত পাখিদের দেখা পাই না। সকাল হতে হতে পাখির যে কিচিরমিচির কানে ভেসে আসত, তা এখন আর পাই না। আর বাবুই পাখির বাসা হারিয়ে গেছে বললে হয়ত ভুল হবে না।
আমার মনে হয়, এর জন্য দায়ী আমরাই। আমরা হামেশাই গাছ কাটছি, বন উজাড় করছি। নতুন করে গাছ রোপণে যেন ন্যূনতম আগ্রহও নেই আমাদের।
পাখিদের টিকে থাকার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ দরকার তা দিন দিন নষ্ট হওয়ার ফলেই হারিয়ে যাচ্ছে পাখিরা। আমি চাই, সবাই যেন পাখিসহ অন্যান্য প্রাণির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।