আমার মায়ের বিকেল কাটত গোল্লাছুট আর বৌচি খেলে।
Published : 11 Oct 2025, 10:20 PM
শৈশব মানুষের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। সুন্দর শৈশব যে পায়, সে জীবনে সব কিছুতে এগিয়ে থাকে বলে আমি মনে করি।
আমার বাবা-মায়ের শৈশব কেটেছে আশি ও নব্বইয়ের দশকে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম কেমন ছিল তাদের শৈশব।
আমার প্রশ্নের জবাবে মা বললেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে মক্তবে যাওয়া, এরপর স্কুলে যাওয়া ছিল তাদের দিনের প্রধান অংশ। তখন প্রায় তিন-চার কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হত।
বিকেল কাটত গোল্লাছুট আর বৌচি খেলে। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় দেরি হলে নানু রাগ করতেন।
এছাড়া শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘আলিফ লায়না’ সিরিজ দেখা এবং মাসে একবার ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান দেখাও ছিল তাদের শৈশবের আনন্দের মুহূর্ত।
বাবার সকালও মায়ের মতই কেটেছে। মক্তবে ও স্কুলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দিন শুরু হত তারও।
বিকেল কাটত খেলাধুলায়, আর সন্ধ্যায় হারিকেন জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতেন আমার বাবা। তবে আমার দাদার অকাল মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বাবার কাঁধে সংসারের দায়িত্বও এসে পড়ে।
তাদের কথা শুনে বোঝা যায়, তখনকার শৈশব ছিল সরল ও নির্ভেজাল। প্রযুক্তি এখন জীবন অনেক সহজ করেছে, তবে শৈশবকে যেন বন্দি করেছে চার দেয়ালের মাঝে। বিকেলে মাঠের খেলাধুলা কিংবা হৈ হুল্লোড় হারিয়ে গেছে আমাদের শৈশব থেকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।