শিশু ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে।
Published : 13 Oct 2025, 09:09 PM
বর্তমান বিশ্বে বিনোদন ও জ্ঞানার্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। শিশুদের জীবনেও এর প্রভাব এখন স্পষ্ট।
আজকাল খুব অল্প বয়স থেকেই শিশুরা ইউটিউব, ফেইসবুক, টিকটক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মত প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়। এসব মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট দেখে। যা থেকে তারা নতুন কিছু শেখে, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা পায়। এতে শিশুদের কৌতূহল মেটে, জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং কিছুটা হলেও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ে।
তবে এর বিপরীত চিত্রও আছে। দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে। আমি মনে করি, এতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়, চোখের সমস্যা দেখা দেয় আর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
এছাড়াও বয়স অনুপযোগী কনটেন্ট, সহিংসতা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে অনেক সময় তারা বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনভর সময় কাটানোয় বাস্তব জীবন থেকে শিশুরা দূরে সরে যায় এবং ভার্চুয়াল জগতে বন্দি হয়ে পড়ে। এতে শিশুরা মানসিক চাপে ভোগে, হতাশায় পড়ে এবং একাকীত্বে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
এই বাস্তবতায় শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের সচেতনতা জরুরি। প্রয়োজন উপযুক্ত বয়স ও সময়সীমা নির্ধারণ এবং মানসম্মত কনটেন্ট বাছাইয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া। তাহলেই আমরা কেবল প্রযুক্তির সুফল ভোগ করতে পারব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।