আজ জীববিজ্ঞান আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়।
Published : 13 Jul 2025, 08:55 PM
শৈশবে বিজ্ঞানের প্রতি আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। তাই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভেবেছিলাম নবম শ্রেণিতে উঠে মানবিকে পড়ব। পরিবারে সদস্যরা আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছিল, তারা কোনো চাপ দেয়নি।
তবে আমার একজন গৃহশিক্ষক পুরো দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেন। স্যার একদিন তিনি জানতে চাইলেন আমি কেন মানবিক বিভাগে যেতে চাই। আমার উত্তর শুনে তিনি হাসলেন এবং বললেন, এটা কোনো যৌক্তিক কারণ না। তখন থেকেই তিনি আমাকে বিজ্ঞান শেখানোর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছেন।
স্যারের ক্লাসে আমি বিজ্ঞানের আসল মজা বুঝতে শুরু করি। বিশেষ করে জীববিজ্ঞান আর প্রাণিবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জন্মে যায়। আমরা তো মানুষের শরীর বা প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চোখে দেখতে পারি, তাই প্রাণিবিজ্ঞান আমার কাছে স্পষ্ট ও জীবন্ত মনে হয়। আর উদ্ভিদবিজ্ঞান একটু জটিল লাগলেও, প্র্যাকটিক্যালের মাধ্যমে তা বুঝে নিতে পারি।
আমার বড় বোনও বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছেন। তিনি যখন প্র্যাকটিক্যাল খাতা তৈরি করতেন তখন আমি আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। তখন কিছুই বুঝতাম না, শুধু এই কাজটার প্রতি এক ধরনের মনের টান অনুভব করতাম। আজ যখন নিজে প্র্যাকটিক্যাল করি, মনে হয় আমি তো সেই জায়গাতেই চলে এসেছি।
আমাদের স্কুলে জীববিজ্ঞানের ল্যাব খুব একটা সচল না হলেও আমরা ক্লাসেই বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যাল করি। প্রাণিবিজ্ঞান-ভিত্তিক প্র্যাকটিক্যাল আমার সবচেয়ে প্রিয় অংশ।
আজ জীববিজ্ঞান আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। আমি ভাবি, যদি সেদিন স্যারের কথা না শুনতাম, হয়ত জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক আমি হারিয়ে ফেলতাম। সেই শিক্ষকই আমাকে সাহস দিয়েছিলেন নিজের ভীতি ভাঙতে, নিজের সক্ষমতা চিনতে।
তাই আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব স্যারের কাছে। আমি চাই, ভবিষ্যতে জীববিজ্ঞান নিয়েই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করব, কারণ এই বিষয়টা নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।