আমরা যদি পৃথিবীর উপকারী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করি, তবে পরিবেশের উপর চাপ কমে যাবে।
Published : 07 May 2025, 04:50 PM
পৃথিবী আমাদের বন্ধু, আর বন্ধুর মতই তার যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। যদি আমরা পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে পারব, বিশেষ করে শিশুদের ওপর।
পরিবেশ রক্ষায় আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে প্লাস্টিক বর্জন। প্লাস্টিক এমন এক উপাদান যা প্রকৃতিতে সহজে পচে না, ফলে এটি পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে। প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ব্যাগ ইত্যাদি পুনঃব্যবহার বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করলে পরিবেশের ওপর চাপ কমানো সম্ভব।
এছাড়া, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। যেমন, বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিকের পণ্য আমরা বর্জন করতে পারি। উপহার হিসেবে বই, গাছ কিংবা পরিবেশবান্ধব কিছু দেওয়ার চর্চা গড়ে তুলতে পারি।
আমরা বাজার করতে গেলে একটা পাটের ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে গেলেই পারি। পলিথিন যদি ব্যবহার করতেই হয়, এটা যত কম সংখ্যক ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টা আমরা করতে পারি। পরিবেশ বা ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য কি আমাদের কোনো দায় নেই?
আমরা যদি পৃথিবীর উপকারী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করি, তবে পরিবেশের উপর চাপ কমে যাবে। অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড এবং অযাচিত ব্যবহারের ফলে পরিবেশে সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে, যার প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে শিশুদের উপর পড়ে।
আমরা পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারি। পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বশীল আচরণই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে, এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পৃথিবী নিশ্চিত করবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নড়াইল।