ক্লাসের ফাঁকে রিমির সঙ্গে বারান্দায় প্রকৃতি দেখতে বের হই।
Published : 03 Aug 2025, 06:36 PM
আমি কলেজে পা রেখেছি গত বছর। এরপর আমার অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, নতুন বন্ধু তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস উপলক্ষে তাদের কথা সবাইকে জানাতে চাই।
আমার তিন বন্ধুর নাম- নেজিলা, রিমি আর অনামিকা। আমাদের চার জনের মধ্যে অদ্ভুত মিল আছে। পরীক্ষায় আমরা তুমুল লড়াই করি। ফলাফলে দেখা যায় প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় হই আমরাই। তবে এই লড়াই আমাদের বন্ধুত্বে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না।
আমরা একসঙ্গে আলোচনা করে পড়ি, একদিন কেউ অনুপস্থিত থাকলে একজন আরেকজনকে পড়া বুঝতে সাহায্য করি। আরেকটা মজার ব্যাপার হল- আমরা চারজনই চশমিশ, মানে চশমা পরি। তাই চেহারাও অনেকসময় একই রকম মনে হয়।
আমরা কিন্তু দুষ্টুমিও করি। ক্লাসের ফাঁকে রিমির সঙ্গে বারান্দায় প্রকৃতি দেখতে বের হই। মাঝে মাঝে নেজিলার সঙ্গে ব্যবহারিক ক্লাসে পেছনে বসি। বৃষ্টির মাঝে অনেকসময় ছেলেরা ক্লাসে আসে না, তখন অনামিকা আর আমি ওদের সারিতে বসে বৃষ্টি দেখি। বেশ ভালো লাগে।
ওরা ছাড়াও আমার আরও দুজন বন্ধু আছে। তাদের একজন রাবেয়া। আমরা সচরাচর একসঙ্গে বাসায় ফিরি। এই তো সেদিন আমার খানিক দেরি হলেও দেখি রাবেয়া আমার জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
এই বর্ষাতেই আরও একদিন কলেজে দুজন বৃষ্টিতে আটকে পড়েছিলাম। সেদিন পৃথিবীর সব গল্প যেন এসে জড়ো হয় আমাদের কাছে।
লিমা আমার আরেক বন্ধুর নাম। কলেজের শিক্ষা সফরে গিয়ে লিমার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। এর আগেও চিনতাম, যেহেতু একই ক্লাসে পড়ি। কিন্তু, সেদিন আমরা একসঙ্গে ঘুরি, গান গাই, ছবি তুলি। এই দিনটা আমার কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে আর তার একটা বড় অংশে থাকবে লিমা।
আর সবশেষে জেবিনের কথা না বললেই নয়। সে আমার খালাত বোন, তাকে আমি ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বা সবচেয় ভালো বন্ধু বলেও আখ্যায়িত করি। আমাদের বছরে একবার মাত্র দেখা হয়, সেই দিনটাতে আমরা সব জমানো কথা বলি।
আমরা সমবয়সী, তবে জেবিন এবার একাদশ আর আমি দ্বাদশ শ্রেণিতে। আমাদের মধ্যে প্রচুর অমিল, তবু আমরা দুজন দুজনের সেরা বন্ধু।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।