কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সাংবাদিকদের বিকল্প হয়ে উঠবে কিনা এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বর্তমান দুনিয়াতে।
Published : 22 May 2024, 06:28 PM
মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মুহূর্তেই বড় বড় সমস্যার সমাধান করছে। এতে করে অনেকেই ভাবছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়ত অনেক পেশার মানুষকে কর্মহীন করে তুলবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সাংবাদিকদের বিকল্প হয়ে উঠবে কিনা এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বর্তমান দুনিয়াতে।
সম্প্রতি আমি ইন্টারনেটে দ্য টিন ম্যাগাজিন নামের একটি ব্লগ সাইটে ‘আর জার্নালিস্টস স্টিল নিডেড ইন দ্যা এইজ অব এআই?’ শিরোনামের একটি লেখা পড়ি।
সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতার স্থান দখল করবে কিনা এই বিষয় নিয়ে খুবই প্রাসঙ্গিক একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রায় আট হাজার সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট চাকরির পদ শূন্য করা হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সকল ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এটি যে কোনো ব্যক্তি ও পেশাজীবীকে তার প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারে। মানুষের প্রয়োজন অনুসারে যে কোনো বিষয়ে তথ্যবহুল লেখাও লিখে দিতে পারে। সে হিসেবে সাধারণ ভাবে বলা যায়, মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবাদ প্রতিবেদনও তৈরি করতে সক্ষম।
তাহলে সাংবাদিকতার স্থান কি আসলেই দখল করে নিবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?
সে ব্লগে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনো মানুষের মতো সৃজনশীল চিন্তাশক্তির অধিকারী হতে পারবে না। এটি অনেক কিছুর একক সমাধান হলেও, মানব মস্তিষ্কের মতো বৈশিষ্ট্য এটি ধারণ করতে পারে না। এটি তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন লিখতে পারলেও, বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।
ব্লগটিতে দ্য মিডিয়া লিডার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা করা একটি জরিপের কথা উল্লেখ করা হয়। বেশির ভাগ মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি করা প্রতিবেদনের চেয়ে সাংবাদিকদের তৈরি করা প্রতিবেদন পছন্দ করে বলে উঠে আসে সে জরিপে।
তাই, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে আগ্রহী হলেও এটি কখনো মানব সাংবাদিকতার বিকল্প হতে পারবে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।