সিন্দুরমতি দিঘিকে ঘিরে যত কথা (ভিডিওসহ)

সিন্দুরমতি বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটে অবস্থিত এক প্রাচীন দিঘি, যে দিঘি নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে নানা গল্প।
সিন্দুরমতি দিঘিকে ঘিরে যত কথা (ভিডিওসহ)

লালমনিরহাট জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান সিন্দুরমতি দিঘি। কুড়িগ্রামের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি গ্রামে অবস্থিত এ দিঘিটির আয়তন ১৬.০৫ একর। দিঘির পাড়ের চারদিকে প্রাচীন অনেক বটবৃক্ষ রয়েছে। রয়েছে একটি মন্দিরও।

বিশাল এই দিঘিটি খনন করেছিলেন শ্রীলঙ্কা থেকে আগত জৈনক হিন্দু জমিদার রাজ নারায়ন চক্রবর্তী।

জানা যায়, রাজার দুই মেয়ে সিন্দুর ও মতির নামে এই দিঘির নামকরণ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুদর্শন দেউরী প্রচলিত গল্পটি বলেন, জনশ্রুতি আছে যে শ্রীলঙ্কা থেকে আগত জৈনক হিন্দু জমিদার জনগণের কল্যাণের জন্য দিঘি খননের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দিঘি খননের পর তাতে জল না উঠায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর এক রাতে তিনি স্বপ্ন দেখেন তার দুই মেয়েকে দিয়ে দিঘির মাঝখানে পূজা দেওয়াতে হবে। সে অনুযায়ী তার দুই মেয়ে সিন্দুর ও মতিকে নিয়ে দিঘির মাঝখানে পূজার ব্যবস্থা করেন। পূজা শুরুর সময় দেখা যায় কিছু উপাচার নেই। তা সংগ্রহের জন্য জমিদার আবারও উপরে উঠে আসেন। তিনি উপাচার আনতে গেলে পুকুর জলে ভরে উঠে। সকলেই পাড়ে উঠলেও সিন্দুর ও মতি অথৈ জলে ডুবে যায়। পরে তাদের নামানুসারেই দিঘির নাম হয় সিন্দুরমতি।

দিঘির নাম অনুযায়ী কালক্রমে গ্রামটিও এই নাম পায়। ১৯৭৫ সালে দিঘিটি সংস্করণের  সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দিঘি থেকে প্রাচীন মূর্তি ও মুদ্রা পাওয়া যায়। যা এখন জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

দিঘিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র স্থান। প্রতি বছরই এই দিঘির পাড়ে জাঁকজমকপূর্ণ পূজা ও মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ ভারত থেকেও অনেকে এই উৎসব দেখতে আসেন। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com