“শো-পিসের কারণে এখন আর কেউ কিনে না মাটির জিনিস। পাতিলটাই চলে শুধু।”
Published : 02 Sep 2025, 09:48 PM
শেরপুর সদর উপজেলার বয়রা পরাণপুর গ্রামের পাল সম্প্রদায়ের অনেক পরিবার মৃৎশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। হাঁড়ি-পাতিল, থালা, কলস, ফুলদানি ও শো-পিসের পাশাপাশি তারা প্রতিমাও তৈরি করে।
গ্রাম ঘুরে জানা যায়, এখানকার ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে প্রায় ২০টি পরিবার প্রতিমা বানায়।
কথা হয় ৮১ বছর বয়সী জুগল চন্দ্র পাল নামের এক কারিগরের সঙ্গে।
তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হরেক মাল আসায় আমাদের ব্যবসা এখন নাই। কিন্তু আগে অনেক চাহিদা ছিল। তবুও আমি বানাই কারণ আমার মত আর কেউ পারে না।”
আরেকজন বলেন, “শো-পিসের কারণে এখন আর কেউ কিনে না মাটির জিনিস। পাতিলটাই চলে শুধু।”
দুর্গোৎসব ঘিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন পর থেকেই তাদেরকে তুমুল ব্যস্ততায় দিন কাটাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় প্রতিমাশিল্পীদের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ।
একজন হ্যালোকে বলছিলেন, “সব কিছুর দাম বাড়ছে। কিন্তু প্রতিমার দাম বাড়ে নাই।”
তাদের সবার অভিযোগ প্রায় একই। উপকরণের দাম দিন দিন বাড়লেও কারিগরের মজুরি বাড়ছে না। তাই এ পেশায় টিকে থাকা অনেকের জন্যই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: শেরপুর।