তিনি বলেন, বয়সের পরিপক্বতা ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসার পরেই সংসার ধর্মে আবদ্ধ হওয়া উচিত।
Published : 11 Jun 2024, 03:24 PM
বাল্যবিয়ে রোধে ইমাম, পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিদের সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ খবং পড়িয়া আর্দশ বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু নন্দপ্রিয় মহাথের। তিনি বলেন, বয়সের পরিপক্বতা ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসার পরেই সংসার ধর্মে আবদ্ধ হওয়া উচিত।
হ্যালো: চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে কম বয়সে বিয়ে হলে কিশোরীর নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে, একজন ধর্মগুরু হিসেবে মানুষকে কীভাবে সচেতন করেন?
নন্দপ্রিয় মহাথের: বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স জেনে ১৮ বছর হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে আমরা তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি। আমাদের কাছে যদি বাল্যবিয়ের প্রস্তাব আসে তাহলে আমরা অভিভাবকদের জানিয়ে প্রত্যাখান করে দেই।
হ্যালো: বাল্যবিয়ে করানোর কোনো অনুরোধ এলে কী করেন?
নন্দপ্রিয় মহাথের: বিবাহের কোনো অনুরোধ এলে আমরা প্রথমে বয়স জেনে বিবাহের কার্যক্রমকে সমর্থন দেই। কেউ যদি বাল্যবিয়ে সংঘটিত করার প্রস্তাব নিয়ে আসে তাহলে আমরা আগে তাদের পরিপক্ব ও স্বনির্ভর হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে আহ্বান জানাই।
হ্যালো: বাল্যবিয়ে বন্ধে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
নন্দপ্রিয় মহাথের: বাল্যবিয়ে হলে সংসারে কখনো শান্তি আসবে না। অপরিপক্ক বয়সে বিয়ের সামাজিক ক্ষতিও থাকে। পরিপক্বতা না এলে শুধু আবেগ দিয়ে সংসার জীবন পরিচালনা করা যায় না। বাল্যবিয়েতে শারীরিক ক্ষতি হয় এবং এই বিয়ে উচিত নয়।
আমি মনে করি, বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য প্রত্যেক ধর্মের ব্যক্তিদের সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: খাগড়াছড়ি।