হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বাল্যবিয়ে রোধের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেন।
Published : 25 Jun 2024, 01:21 PM
বাল্যবিয়ে একটি কুসংস্কার এবং সচেতনতা ছাড়া এটি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি সদরের নীলকান্তপাড়ার ‘সঞ্জীবনী ভাবনা কেন্দ্রের’ ধর্মগুরু কৃশা ভিক্ষুণী। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বাল্যবিয়ে রোধের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেন।
হ্যালো: চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে কম বয়সে বিয়ে হলে কিশোরীর নানা ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে, একজন ধর্মগুরু হিসেবে মানুষকে কীভাবে সচেতন করেন?
কৃশা ভিক্ষুণী: চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে কম বয়সে বিয়ে হলে কিশোরীর নানা ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে এই বিষয়ে আমি একমত। একজন ধর্মগুরু হিসেবে আমি উপাসক-উপাসিকাদের সচেতন হওয়ার জন্য বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের উপদেশ দিব।
হ্যালো: অনেকেই অভিযোগ করেন ধর্মগুরুরা বাল্যবিয়েতে সহায়তা করে। এ অভিযোগ কতটুকু সত্য?
কৃশা ভিক্ষুণী: বৌদ্ধ ধর্মগুরুরা সংসার ত্যাগ করে ধর্ম পথ অনুসরণ করেন। তারা কাউকে কখনোই বিবাহ বন্ধনে উদ্বুদ্ধ করেন না। অতএব ধর্মগুরুরা বাল্যবিয়েতে সহায়তা করেন এই অভিযোগটি সত্য নয়। কোনো ধর্মগুরু এই কাজে সহায়তা করেন না।
হ্যালো: বাল্যবিয়ে পড়ানোর অনুরোধ এলে কী করেন?
কৃশা ভিক্ষুণী: যেহেতু বাল্যবিয়ে অবৈধ এবং সমাজবিরোধী কাজ আমরা কখনোই বাল্যবিয়েতে সহায়তা করি না। তাই বাল্যবিবাহ পড়ানোর অনুরোধ এলে আমরা তা নিষেধ করি এবং ধর্মের সাহায্যে কুশল কথা বলে তা রোধ করার সম্পর্কে চেষ্টা করি।
হ্যালো: বাল্যবিয়ে বন্ধে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
কৃশা ভিক্ষুণী: বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার ধর্ম পালন করতে হবে। কারণ বাল্যবিয়ে একটি কুসংস্কার এবং এটি বন্ধ করতে হলে পরিবার, সমাজ, অভিভাবক সবাইকে সচেতন হতে হবেlসচেতনতা ছাড়া বাল্যবিয়ে বন্ধ করা অসম্ভব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: খাগড়াছড়ি।