আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটি হলেন মা। যে মানুষটা আমার সুখ, দুঃখ প্রতিটা সময়েই পাশে থাকেন।
পৃথিবীতে মা ছাড়া কেউ আপন নাই আমার। অন্যদের কাছে আমি যা প্রকাশ করতে পারি না তা মায়ের কাছে আমি মন খুলে সব বলতে পারি।
সত্যি বলতে মায়ের মুখটা দেখলে আমার মন ভরে যায়। মাকে দেখলে কষ্ট বা দুঃখগুলোও সহজ হয়ে যায়। তাকে ছাড়া আমি তো নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। মায়ের ভালোবাসা যারা প্রায় তাদের জীবনকে আমি ধন্য মনে করি।
শিক্ষা জীবনের শুরু হয়েছে মায়ের হাত ধরেই। প্রথম কথা বলাটাই শিখিয়েছেন মা। তিনি প্রথম শিক্ষকও বটে। বাংলা, ইংরেজি বর্ণমালাও শিখেছি মায়ের কাছেই।
আমি যখন প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হই মা আমাকে রোজ স্কুলে নিয়ে যেতেন। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে মা আমাকে চকলেট কিনে দিতেন। আমাকে সবসময় আনন্দে রাখা মানুষটা তিনি।
আমার যখন কোনো পরীক্ষা হতো, মা আমাক সব পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে দিতেন। বই পড়ার রুটিন করে দিতেন। সমাপনী পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়ার পর মা খুশিতে যেন আত্মহারা হয়ে গেছিলেন। আমার সাফল্যে মা সবচেয়ে বেশি খুশি হন।
মায়ের অবদান কখনো ভুলতে পারব না। তার জন্য আমার ভালোবাসা প্রতিদিন, প্রতিটা সেকেন্ডজুড়ে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সিরাজগঞ্জ।