একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
Published : 28 Oct 2025, 08:18 PM
ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এতে জীবন হয়েছে আগের চেয়ে সহজ। বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার অস্বীকার করারও কোনো সুযোগ আর নেই। কিন্তু এর মন্দ দিকগুলো নিয়ে আমরা কতটা সচেতন?
আমি যখন প্রথম স্মার্টফোন হাতে পাই তখন আমার বয়স ছিল ১২ বছর। তখন ভাবতাম ইন্টারনেট শুধু শেখার বা বিনোদনের জায়গা। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝলাম এখানে যেমন ভালো সুযোগ আছে তেমনি আছে প্রতারণা, বিভ্রান্তি আর মানসিক নির্যাতনের ঝুঁকি।
একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। আমার নাম ব্যবহার করে অন্যদের কাছে অদ্ভুত বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম। পরে পরিবারের সাহায্যে রিপোর্ট করি। কিন্তু তখনই মনে হল সব শিশুই কি আমার মত সহায়তা পায়? অনেকেই লজ্জা বা ভয়ে কাউকে কিছু জানায় না।
ইউনিসেফের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজন অনলাইনে ঝুঁকিতে পড়ছে। কেউ নিজের অজান্তে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করছে। যা পরে বড় বিপদের কারণ হয়।
আমার মনে হয়, ইন্টারনেট ব্যবহারের নিরাপত্তা শেখানো উচিত পরিবার থেকেই। যেমন সন্তানকে রাস্তা পার হতে শেখানো হয় তেমনই শেখানো দরকার কোন লিংকে ক্লিক করা ঠিক নয় বা অপরিচিতদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।
এখন অনেক স্কুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে ক্লাস হয় এবং সরকারও সাইবার সেফটি অ্যাপ ও শিশু হেল্পলাইন ৩৩৩, ১০৯৮ চালু করেছে। তবুও অনেক শিশু এসব সম্পর্কে জানে না।
আমরা যদি সত্যিই শিশুদের ডিজিটাল মাধ্যমগুলোতে শক্তিশালী করে তুলতে চাই তাহলে তাদের নিরাপদ ইন্টারনেটের প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সিলেট।