ট্রেন ছুটে চলল নদী, খাল আর সবুজ মাঠ পেরিয়ে।
Published : 28 Oct 2025, 08:15 PM
অনেকদিন ট্রেনে চড়া হয়নি। পড়াশোনা আর অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে সেই সুযোগই হয়ে উঠছিল না। অবশেষে কয়েকদিন আগে ট্রেনে চড়ে রাজশাহী ঘুরে এলাম।
এবারের ট্রেন ভ্রমণে আমার সঙ্গী ছিল আমার মামাতো ভাই ফয়সাল। সে বেড়াতে এসেছে আমাদের বাড়িতে। সে আমার মতই ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করে। কথায় কথায় সিদ্ধান্ত হয়ে গেল আমরা রাজশাহী ঘুরতে যাব।
সাধারণত আমি অনলাইনে টিকিট কিনে থাকি। কিন্তু সেদিন ভাবলাম কাউন্টার থেকেই কিনব।
যাত্রার দিন সকালে আমাদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল। বাড়ি থেকে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন সাত কিলোমিটার দূরে। আমরা তাড়াহুড়ো করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে রওনা দিলাম। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছে দেখি রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস চোখের সামনে ছেড়ে দিল!
তবুও হাল ছাড়িনি। নাটোরগামী ট্রেনের টিকিট কেটে নিলাম। কিন্তু কোনো সিট পাইনি। দাঁড়িয়েই যেতে হল নাটোর পর্যন্ত। তারপর বাসে করে পৌঁছালাম রাজশাহী শহরে।
রাজশাহী পৌঁছে কিছুটা মন খারাপ হল। আগে যে শহরে পরিচ্ছন্ন বাতাসে শ্বাস নিত মানুষ এখন সেখানে ধোঁয়া আর যানবাহনের ভিড়।
আমরা ঘুরতে গেলাম রাজশাহী চিড়িয়াখানায়। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি শেষে এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সময় কম থাকায় ইচ্ছে থাকলেও আর বেশি ঘোরা হল না।
বিকেল তিনটার ট্রেনে ফেরার জন্য টিকিট কাটলাম। এবারও আসনবিহীন। ফেরার পথে ট্রেনে নানা পেশার মানুষ দেখতে পেলাম। কেউ ফল বিক্রি করছে, কেউ পানি বা খাবার।
ট্রেন ছুটে চলল নদী, খাল আর সবুজ মাঠ পেরিয়ে। জানালা দিয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যটা যেন এক টুকরো শান্তি এনে দিল।
অবশেষে আমরা ফিরে এলাম সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে। মনে হল এটি একটি ক্লান্তিকর ভ্রমণ হলেও স্মরণীয় থাকবে সবসময়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নঁওগা।