দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর আমরা একটি শোভাযাত্রা বের করি।
Published : 10 Apr 2025, 09:45 PM
আমার প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শিশু নিকেতন। কিছুদিন আগে আমার প্রিয় এই বিদ্যাপীঠের রজতজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। স্কুলের এই আয়োজন আমাদের ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেয়।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলিত হয়। আমিও সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কারণ, এভাবে সবাই একত্রিত হওয়ার সুযোগ সবসময় আসে না।
অনুষ্ঠানের দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা ক্যাম্পাসে জড়ো হই। এরপর কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর শিক্ষকরা আমাদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তারা নানা স্মৃতিচারণ করেন। পুরোনো কথাগুলো মনে করে তখন খুবই আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম।
শিক্ষকদের বক্তব্যের পর আমাদেরকে উপহার হিসেবে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। ব্যাগের ভেতরে ছিল রজতজয়ন্তীর ম্যাগাজিন, একটি টি-শার্ট ও চাবির রিং।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর আমরা একটি শোভাযাত্রা বের করি। এরপর শুরু হয় খেলাধুলার পর্ব। আমি ও আমার বন্ধুরা বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নিয়েছি।
বিকেলের নাস্তা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নাচ-গানসহ নানা পরিবেশনায় অংশ নেয়। কিছুক্ষণ পর মঞ্চে আসে স্থানীয় ব্যান্ড দল ‘অবসর’। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পর্দা নামে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: রংপুর।