এই দৃশ্যগুলো আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে।
Published : 12 Apr 2025, 10:17 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের যেন চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে। ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, বন্যা কিংবা মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির মত সমস্যা যেন বাড়ছেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণকে বেশি দায়ী করা হয়। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ গ্রিনহাউজ গ্যাসের মাত্র শূন্য দশমিক চার শতাংশ নিঃসরণ করে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমাদের ভূমিকা খুবই কম। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগ পোহানো দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম। এর প্রভাবে শুধু প্রকৃতিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য আর জীবনযাত্রার মত বিষয়গুলো।
শিল্পোন্নত দেশগুলো বছরের পর বছর ধরে প্রকৃতির উপর অবিচার করে চলেছে। যার পরিণতি এখন আমাদের মত দেশগুলোকে ভোগ করতে হচ্ছে।
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। আমি মনে করি, এই বিষয়ে কথা বলার ও সোচ্চার হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। আমরা জলবায়ু ন্যায়বিচার চাই। আমাদের চাওয়া জবাবদিহিতা ও ক্ষতিপূরণ।
তবে আশার একটি দিক হল, বাংলাদেশের তরুণদের অনেকেই এখন এই দাবিতে সোচ্চার। ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ কিংবা ‘ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ এর মত বৈশ্বিক আন্দোলনের ছায়ায় আমাদের তরুণরাও নানা কর্মসূচি পালন করছে। তারা উঁচু কণ্ঠে বলছে, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর বাণিজ্য নয়।
এই দৃশ্যগুলো আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। যখন দেখি আমার বয়সী অনেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে তখন মনে হয় সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। এখনো পরিবর্তনের আশা আছে।
জলবায়ু সংকট শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষার লড়াই নয়। এটি আমাদের বাঁচার লড়াই। আগামী প্রজন্মের জন্য এক টেকসই পৃথিবী গড়ার লড়াই।
আমি চাই দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই তরুণদের পাশে গিয়ে দাঁড়াক এবং তাদের কণ্ঠকে আরও ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করুক।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।