দুপুরের দিকে ঝর্ণার পাশে যাই।
Published : 10 Apr 2025, 09:37 PM
অনেকদিন ধরে প্রকৃতির কাছে যাওয়া হয় না। কেমন যেন একঘেয়ে লাগছিল। তাই ভাবলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়া প্রয়োজন।
ঠিক করলাম, শেরপুরের গারো পাহাড় গজনিতে যাব। সেখানে একটি অবকাশ কেন্দ্র আছে। আমার কয়েকজন বন্ধুও যেতে রাজি হল।
এক সকালে আমাদের যাত্রা শুরু হল। আমরা শহর পেরিয়ে যতই গজনির দিকে এগোচ্ছি ততই যেন প্রকৃতি বদলে যেতে থাকল। উঁচু-নিচু পাহাড়, সবুজ বনানী আর ছায়াঘেরা পথ যেন প্রকৃতি নিজ হাতে এঁকেছে।
আমরা যখন অবকাশ কেন্দ্রে পৌঁছাই তখনো পাহাড়ের গায়ে মৃদু কুয়াশা লেগেছিল। পাখির কিচির মিচির ডাক বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠে নিচের দৃশ্য দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। উপর থেকে প্রকৃতি খুবই শান্ত আর নিখুঁত লাগছিল। আমার মনে হয়েছিল এমন দৃশ্য শুধু চোখ নয় মন দিয়েও উপভোগ করতে হয়।
দুপুরের দিকে ঝর্ণার পাশে যাই। সেখানে জুতো খুলে ঝর্ণার জলে পা ডুবিয়ে কিছু সময় বসেছিলাম। সেই শীতল স্পর্শে পুরো দেহের ক্লান্তি যেন ধুয়ে গেল।
বিকেলের দিকে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ফেরার পথে মনে হয়েছিল একদিনের ছোট্ট ভ্রমণ হলেও এই ভ্রমণের রেশ অনেক দিন থেকে যাবে আমার মনে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: শেরপুর।