রোবটিক্স নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ব্যাপারটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে।
 
                        Published : 24 Jul 2025, 08:14 PM
ছোটবেলায় রোবটিক্সকে আমি শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির জগৎ ভাবতাম। কারণ, চোখের সামনে তখন কোনো উদাহরণ ছিল না।
কিন্তু এখন অবস্থা বদলে গেছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা রোবটিক্সে দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছে আর সাফল্যও পাচ্ছে।
দেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন রোবটিক্স বিষয়ে পড়ানো হয়, ল্যাবও আছে। শিক্ষার্থীরা শিখছেও অনেক উৎসাহ নিয়ে।
এই যেমন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০১৬ সালে বানিয়েছিল বাংলা ভাষায় কথা বলা রোবট ‘রিবো’। কিছুদিন আগে খবরের কাগজে দেখলাম, বাংলাদেশের আরেক দল শিক্ষার্থী বানিয়েছে পানির নিচে চলতে পারে ‘হাঙর’ নামের এমন এক রোবট।
এমনকি রেস্তোরাঁ আর গার্মেন্টস শিল্পেও এখন রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
রোবটিক্স নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ব্যাপারটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে। বিজ্ঞানমেলাতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের রোবট বানিয়ে সবাইকে চমকে দেয়। আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই, এত কম বয়সে তারা কতটা এগিয়ে যেতে পারছে।
রোবটিক্স নিয়ে এই পথচলা আরও এগিয়ে নিতে হলে গবেষণা বাড়াতে হবে, দিতে হবে পর্যাপ্ত অর্থায়ন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনকে অবহেলার চোখে দেখা যাবে না, তাদের উৎসাহ দিতে হবে। তাহলে একদিন বাংলাদেশে রোবটিক্স একটি বড় শিল্প হয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।