শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে।
Published : 04 Dec 2022, 12:00 PM
যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনে ৩০ বছর আগে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়েছে যমজ শিশু।
১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল এই ভ্রূণগুলো সংরক্ষণ করা হয়। ভ্রূণগুলো রাখা হয় মাইনাস ১২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তরল নাইট্রোজেনে।
বিবিসি ও সিএনএন থেকে জানা যায়, ৩০ বছর পর আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বা কাঁচের ভেতর নিষেক পদ্ধতিতে ভ্রুণগুলো গর্ভে ধারণের মাধ্যমে ৩১ অক্টোবর যমজ শিশুদের মা-বাবা হন র্যাচেল রিজওয়ে ও ফিলিপ রিজওয়ে নামের এক দম্পতি। শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে।
সদ্য বাবা হওয়া ফিলিপ সিএনএনকে বলেন, “আমি যখন পাঁচ বছর বয়সী তখনই ঈশ্বর লিডিয়া ও টিমোথিকে জীবন দিয়েছিল। সেই হিসেবে আমাদের ছয় সন্তানের মধ্যে তারা সবার বড়।”
জানা যায়, এই ভ্রূণ দুটি একটি অজ্ঞাতনামা বিবাহিত দম্পতির থেকে তৈরি। আরো অসংখ্য দম্পতির মতো তারা আইভিএফ প্রক্রিয়ায় ভ্রূণ তৈরি করেছিল। ভ্রূণ দুটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের একটি ফার্টিলিটি ল্যাবে ছিল, এরপরে তারা এটি ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারকে (এনইডিসি) দান করে দেয়।
আইভিএফ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া দম্পতিরা অতিরিক্ত ভ্রূণ চাইলে দান করে দিতে পারেন। যেন সন্তান নিতে অক্ষম দম্পতিরা এটি ব্যবহার করে সন্তান জন্ম দিতে পারে। এই ভ্রূণ অনেকসময় গবেষণার কাজেও ব্যবহার করা হয়।
ভ্রূণের এই দান এবং গ্রহণের প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল এবং এটি সম্পন্ন করতে নির্দিষ্ট নির্দেশনা মানা আবশ্যক। এই নির্দেশনায় ছোঁয়াচে রোগ আছে কিনা পরীক্ষা করাসহ আরো অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে।
উল্লেখ্য, দানকৃত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর সঙ্গে দত্তক নেওয়া মা-বাবার কোনো জিনগত বা রক্তের সম্পর্ক থাকে না। তবে এনইডিসির মতে এটিকে পুরোপুরি দত্তক নেওয়া বলাও ঠিক হবে না, কারণ শিশু জন্মের আগেই মা-বাবার কাছে এসেছে।
এনইডিসি এর তথ্য অনুসারে, এর আগে ২০২০ সালে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে মলি গিবসন নামের এক শিশুর জন্ম হয়। ওই ভ্রূণ ২৭ বছর আগে হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। তার আগে রেকর্ডটি তার বোন এমার দখলে ছিল যিনি ২৪ বছর হিমায়িত থাকা ভ্রূণ থেকে জন্মগ্রহণ করেছে।