কথিত আছে, এ অঞ্চলের গহীণ অরণ্যে বাস করতেন রাজা ভগদত্ত।
Published : 31 May 2023, 10:00 PM
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ‘সুতানালা দিঘি’। এর পাশাপাশি বারো তীর্থের জলের দিঘি নামেও পরিচিত এটি।
শোলাকুড়ি বাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পশ্চিমেই এই দিঘির অবস্থান। শান বাঁধানো ঘাট, দিঘি ঘেরা বাড়ি জায়গাটিকে করেছে বৈচিত্রময়।
এই দিঘির পানি দুই গ্রামের মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে এই দিঘিতে চাষ করা হয়ে থাকে মাছ। সেই মাছ ধরার জন্যও নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
কথিত আছে, এ অঞ্চলের গহীণ অরণ্যে বাস করতেন রাজা ভগদত্ত। মাতৃভক্ত এই রাজার মা একবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনো চিকিৎসায় তিনি সুস্থ না হওয়ায় স্বপ্নে দেখেন বারো তীর্থের জল দিয়ে স্নান করলে তিনি আরোগ্য লাভ করবেন।
মায়ের আদেশে রাজা ভগদত্ত ১২ রাজকর্মীকে ঘোড়ায় করে পাঠিয়ে দেন বারো তীর্থের জল আনতে। তারা ভারতের বৃন্দাবন, মথুরা, প্রয়াগ, গয়া, কাশি এরকম বারো তীর্থ থেকে জল এনে বর্তমানে শোলাকুড়ি যে স্থানে দিঘি সেখানকার মাঝখানে বসিয়ে বৈশাখের অমাবস্যার রাতে রাজার মাকে স্নান করালে তিনি আরোগ্য লাভ করেন।
পরে রাজা বারো তীর্থের পবিত্র জল সংরক্ষণের লক্ষ্যে সেখানেই দীঘি খননের ব্যবস্থা করেন। সেই দীঘিই এখন শোলাকুড়ির বারো তীর্থের জলের দিঘি। এই কাহিনীকে ঘিরে তখন থেকেই এ দীঘির জলে পূণ্যস্নান, পূজা অর্চনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী এই দিঘি দেখতে অনেকেই ঘুরতে আসেন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: টাঙ্গাইল।