Published : 29 Apr 2024, 09:57 AM
তীব্র গরমে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসার তিনটি পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরামর্শের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটি।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ইউনিসেফ বলছে, শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখুন।
পরামর্শে আরও বলা হয়েছে, শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে তা নিশ্চিত করতে হবে। এসময় যেহেতু প্রচুর ঘাম হয় তাই শিশুদের যথেষ্ট পানি পান করাতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে ইউনিসেফ জানায়, যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি দেখা দেয় তাহলে তাকে ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। যে জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করবে।
এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিতে হবে বা গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।
ইউনিসেফ বলছে, হিট স্ট্রেসে আক্রান্ত শিশু বা গর্ভবতী মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের বা তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার উপসর্গ তীব্র হলে যেমন, কোনো কিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে।
সবশেষে প্রতিবেশিদের খেয়াল রাখার তাগিদ দিয়ে ইউনিসেফ বলে, তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি তারা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন।
এছাড়া প্রতিবেশি বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।