যে ভালো গুণের চর্চা করতে হয়

জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়। প্রতিদিনই আমরা অনেক রকম ঘটনার মুখোমুখি হই, অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয় আমাদের। সেসব অভিজ্ঞতা কখনো ভালো হয়, কখনো হয় খারাপ। তবে এসব ঘটনা দুর্ঘটনা যাই বলি না কেন তার মোকাবেলা করতে হয় ঠান্ডা মাথায়, বুদ্ধি আর গুণ দিয়ে।

আমি কিছু ভালো গুণ রপ্ত করার চেষ্টা করছি। একদিনে সব ভালো গুণ আয়ত্ত করা যায় না। নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদে প্রতিদিন একটু একটু করে সে গুণগুলো  আয়ত্ত করার চেষ্টা করি।

আমি মনে করি জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো ভালো দৃষ্টিভঙ্গি। কেমন করে আমি আমার জগৎকে দেখি? আমি হুটহাট কাউকে ভালো বা মন্দ বলে বিবেচনা করছি কিনা, কোনো বিষয়কে গভীরভাবে চিন্তা করা ছাড়াই ভালো বা মন্দ বলে বিচার করছি কিনা, এই বিষয়টিই হলো দৃষ্টিভঙ্গি। আমি প্রতিদিন আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে উন্নত করার চেষ্টা চালাই।

কারো মন খারাপ থাকলে,কেউ কোনো বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করাই হলো সহমর্মিতা। কারো খারাপ সময়ে তাকে সাহস দেওয়া, তাকে আশাবাদী করে তোলা উচিত। সহমর্মিতার এই গুণটিও আমি রপ্ত করতে চাই। 

ভেবে কথা বলাকেও আমি একটি ভালো গুণ বলে মনে করি। আমাদের ছোট্ট একটি কথার মূল্য কতটুকু, তা বলার সময় আমাদের খেয়াল থাকে না। একটা ছোট কথাই মানুষের মনে অনেক বড় কষ্ট দিতে পারে। ভেবে কথা বলতে পারাকে একটা শিল্পও বলা যেতে পারে। আমরা চাইলে এই গুণটিও রপ্ত করতে পারি। তাই ভালো কথা, সুন্দর কথাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি।

কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে আমাদের শরীরের ভাষা কেমন হচ্ছে। কাউকে আক্রমণাত্মক ভাবে কোনো ইঙ্গিত ইশারা দেওয়া যাবে না। মুখের সামনে আঙুল দিয়ে কথা বলাও কিন্তু খারাপ দেখায়। অনেক সময় না জেনে আমরা শরীরের ভাষার মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকি। এই বিষয়টিও আমি মেনে চলার চেষ্টা করি।

তাছাড়া সব সময় সত্য বলা, নিজের বিবেকের কাছে সব সময় স্বচ্ছ থাকার তাগিদ অনুভব করি। আমি মনে করি, একজন ভালো মানুষ হওয়া শুধু নিজের জন্য না,নিজের পরিবার ও সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সিলেট।