গিয়ে দেখি মন্দিরে তখন অষ্টমী পূজা শেষ হয়ে নবমী পূজার প্রস্তুতি চলছে।
Published : 06 Oct 2025, 08:50 PM
প্রতিবছর মহালয়ায় যার কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ না শুনলে দুর্গাপূজার আনন্দ অসম্পূর্ণ মনে হয়, তিনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ১৯০৫ সালের ৪ অগাস্ট তার জন্ম। তিনি মারা যান ১৯৯১ সালের ৩ নভেম্বর।
কলকাতার আকাশবাণী থেকে সম্প্রচারিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানের জন্যই তিনি খ্যাতি পেয়েছেন।
এবার দুর্গাপূজার অষ্টমীতে আমি ও আমার পার্থিব দাদা গিয়েছিলাম বীরেন্দ্র ভদ্রের পৈতৃক ভিটায়। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার উথালী গ্রামে সেই ভিটা।
আমরা সদর থেকে বেলা ১১টার দিকে রওনা দিয়ে দুপুর ১টার দিকে সেখানে পৌঁছাই। গিয়ে দেখি মন্দিরে তখন অষ্টমী পূজা শেষ হয়ে নবমী পূজার প্রস্তুতি চলছে।
সেখানে শুভ্র শশী ভদ্র নামে এই বংশের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, প্রায় ৩৫৬ বছর আগে এই স্থানটির নাম ছিল বুড়ন দ্বীপ। কপোতাক্ষ নদের তীরে ১০৮টি কোঠাবাড়ির সমন্বয়ে তখন এক জনবসতি গড়ে ওঠে। সেই সময় থেকেই এখানে দুর্গাপূজা শুরু হয়, যা কোনো যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বন্ধ হয়নি। তিনশ বছরের বেশি সময় ধরে এই পূজা আয়োজন করা হচ্ছে বলে আমাদের মত অনেক দর্শনার্থী এখানে আসে।
এখন যে মন্দিরটি রয়েছে এটি ১৩৪৭ বঙ্গাব্দে মহেন্দ্র নাথ ভদ্র নির্মাণ করেন। সেই সময় মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৫৬ টাকা। এই পূজাটি তখন নাকি পরিচিত ছিল ‘ছোট কলকাতার দুর্গাপূজা’ নামে। প্রতিমায় এখনো কলকাতার শিল্পরীতি লক্ষ্য করা যায়।
বর্তমানে ভদ্র বংশের ১১ সদস্যের উদ্যোগে এখানে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাদের এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আমরা খুবই আনন্দ পেয়েছি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সাতক্ষীরা।