শিশুদের আবার মাঠের খেলায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
Published : 07 Oct 2025, 07:47 PM
শৈশবে আমার সময় কাটত মাঠে আর বাগানে ঘুরে বেড়িয়ে। বিকেল হলেই ছুটে যেতাম মাঠে, যেখানে নানা ধরনের খেলায় মেতে থাকতাম।
এসব খেলার জন্য আলাদা কোনো উপকরণ লাগত না, আর লাগলেও তা ছিল খুব সামান্য। দাড়িয়াবান্ধা, বৌচি, সাতপাটা, জুতা চুরি, গোল্লাছুট, কুত কুত আর কাবাডির মত খেলাগুলো ছিল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
শুধু খেলাই নয়, অবসরে বন্ধুদের সঙ্গে গাছের ফল পেড়ে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া, শীতের সকালে মাঠে আগুন জ্বালানো কিংবা গাড়ি বানিয়ে চড়তাম। এ সবই ছিল আনন্দের অংশ।
গ্রামে আমার এমনই এক নির্ভেজাল, প্রকৃতির কাছাকাছি শৈশব কেটেছে। পরে শহরে এসে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচয় হয়, আর এখন নানা প্রয়োজনে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। শুধু প্রয়োজনে ব্যবহার করলে ঠিক আছে, কিন্তু অপ্রয়োজনেও ব্যবহার করা হয়ে যায়।
গ্রামে গেলে দেখি সেখানেও একই চিত্র। আজকের শিশুরা আর আমাদের মত মাঠে বা বনে ঘুরে বেড়ায় না। যেসব মাঠে আমরা খেলতাম, সেগুলো এখন নিস্তব্ধ পড়ে থাকে।
শিশুরা ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে গেইম খেলে বা ভিডিও দেখে সময় পার করে। অথচ মাঠের খেলাধুলা সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব খুবই দীর্ঘমেয়াদী হবে। এখন এমন অনেক শিশু আছে যারা এই ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর নামও জানে না।
তাই শিশুদের আবার মাঠের খেলায় ফিরিয়ে আনতে হবে, তাদের এসব খেলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসা জরুরি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।