আমার কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষকই নন, একজন অভিভাবকও।
Published : 04 Oct 2025, 12:34 PM
আমি সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ি। এই কলেজের প্রতিটি শিক্ষকই আমার প্রিয়। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক হলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন।
আমার কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষকই নন, একজন অভিভাবকও। কলেজে প্রথম দিন অচেনা পরিবেশে আমি শূন্যতা অনুভব করছিলাম। সেই সময় বিতর্ক ক্লাবে গিয়ে প্রথমবার তার সঙ্গে কথা হয়। সেদিন থেকেই ম্যাডাম হয়ে ওঠেন আমার ভরসার জায়গা। যেকোনো প্রয়োজনে আমি সব সময় তার কাছে ছুটে যাই।
একবার পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হওয়ায় ফলাফল ঘোষণার দিন আমার বাবা-মা আসেননি। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন ম্যাডাম আমাকে বলেছিলেন, “ক্ষোভ আর কষ্ট মানুষকে শক্তিশালী করে তোলে। চেষ্টা যদি থেমে না যায়, সাফল্যও থেমে থাকবে না।” তার সেই কথা আমাকে নতুনভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
শ্রেণিকক্ষে তিনি পাঠদান করেন ভিন্নভাবে। স্পষ্ট উচ্চারণ আর সুন্দর শব্দচয়নে তিনি আমাদের শিখিয়েছেন বাংলা ভাষার সৌন্দর্য। তার ক্লাস করার পর বাংলা ভাষার প্রতি আমার নতুন করে ভালোবাসা জন্মেছে।
আমার মা যেমন ছোট ভুল ক্ষমা করে দেন তেমনই ম্যাডামও ধৈর্যের সঙ্গে আমার অপরিণত আচরণ সামলে নেন। ম্যাডামের কাছ থেকে আমি শিখেছি ধৈর্য, সহমর্মিতা আর অভিমান জয় করার কৌশল।
আর এসব কারণেই ফরিদা ইয়াসমিন ম্যাডাম আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সিলেট।