আবৃত্তি পরিবেশনের জন্য আমার ডাক আসে দুপুর ১টার দিকে।
Published : 04 Oct 2025, 12:45 PM
বড়দের কাছে শুনেছি একসময় বাংলাদেশে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ নতুন কুঁড়ি নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালিত হত। আর অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হত বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
অনেক বছর পর ২০২৫ সালে আবারো নতুন কুঁড়ি শুরু হতে যাচ্ছে। আমিও এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিলাম। অভিনয় বিভাগের আবৃত্তি বিষয়ে অংশ নিয়ে আমি বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন সামনে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
বাছাইয়ের দিন ছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। স্থান ছিল রংপুর শিল্পকলা একাডেমি। আমরা সকাল ৯টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাই। ফুলবাড়ি শিল্পকলা একাডেমি থেকে আমরা ৬ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের আবৃত্তি শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব স্যার এবং আমার মা-বাবাও সঙ্গে ছিলেন।
আবৃত্তি পরিবেশনের জন্য আমার ডাক আসে দুপুর ১টার দিকে। এর আগে সকাল থেকে অনেক প্রতিযোগীকে অডিশন রুমে আবৃত্তি পরিবেশন করে বের হয়ে আসতে দেখেছি। কেউ ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছে, কেউ পায়নি। ফলে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। তবে বাবা, মা আর স্যার তখন আমাকে সাহস জোগায়।
বয়স অনুসারে আমি ছিলাম ‘খ’ শাখার প্রতিযোগী। অবশেষে যখন আমার নাম ডাকা হল, আমি অডিশন কক্ষে প্রবেশ করি। মাত্র পাঁচ-ছয় দিনের প্রস্তুতি আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে অডিশনের মঞ্চে দাঁড়াই। মনকে শক্ত করে আবৃত্তি পরিবেশন করি এবং অবশেষে কাঙ্ক্ষিত ‘ইয়েস কার্ড’ অর্জন করি।
দেশব্যাপী প্রতিযোগী বাছাইয়ের জন্য মোট ১৯টি কেন্দ্রে এই আঞ্চলিক বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি অংশ নিয়েছি রংপুর-১ কেন্দ্রে। কুড়িগ্রাম ছাড়াও রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারি ও গাইবান্ধা জেলার প্রতিযোগীরাও এখানে অডিশন দিয়েছে।
এখন সামনে বিভাগীয় পর্যায়ের বাছাইপর্ব। আমি এর জন্য নিয়মিত প্রস্তুতি নিচ্ছি। মা-বাবা ও শিক্ষক আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ ও সাহস জোগাচ্ছেন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: কুড়িগ্রাম।